সিলেট-৬: অপেক্ষার আর মাত্র পাঁচ দিন!

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:০৮ অপরাহ্ণস্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬ জন। আর মাত্র পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
ঐদিন দু’একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কে এই হেভিওয়েট ভাগ্যবান প্রার্থী; মূলত: এ দৃশ্য অবলোকন করতে সেদিকে তাকিয়ে আছেন প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটাররা! পরদিন প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে রীতিমতো শুরু করবেন ভোটযুদ্ধের প্রচার-প্রচারণা।
সিলেট-৬ আসনে ছয়জন প্রার্থী হলেও আলোচনার টেবিলে রয়েছেন তিনজন। এমনকি এ তিনজনের একজন হবেন সংসদ সদস্য। ভোটারদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, এরমধ্যে যেকোন একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য আসন।
আলোচিত তিন হেভিওয়েট এর মধ্যে এজন হলেন নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। এ আসন থেকে তিনি নৌকার টিকেটে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পরপর দু’বার দায়িত্ব পালন করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর।
আরেকজন হলেন তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের মুবিন চৌধুরী। তিনি একজন প্রাজ্ঞ কূটনীতিবিদ। পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ আসনে তিনি সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।
অপরজন হলেন, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরওয়ার হোসেন। তিনি বিগত একযুগ থেকে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন। এজন্য ইতিমধ্যে তাঁকে ‘দানবীর’ তকমা দিয়েছে জনগণ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন সরওয়ার হোসেন।
নানা কারণে সিলেট-৬ আসনের দিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখ রয়েছে। ইতিমধ্যে এ আসনটি হয়ে উঠেছে অধিক মর্যদাপূর্ণ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে তৃণমূল বিএনপি’র নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরীর মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে।
অনেকের মতে, সিলেট-৬ আসন দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপি’র মধ্যে আসন বন্টন চূড়ান্ত হবে। এ যাত্রায় দু’দলের প্রার্থীদের মধ্য থেকে একজন নির্বাচনী দৌঁড় থেকে ছিটকে পড়বেন; না হেভিওয়েট এ দু’প্রার্থীই নির্বাচন করবেন? এ বিষয়টি এখন নির্বাচনী এলাকার মানুষের জানার আগ্রহে রয়েছে। প্রার্থীদের আচার-আচরণে অনেক কিছু আকার-ইঙ্গিতে প্রকাশ পেলেও এ মুহুর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
হেভিওয়েট প্রার্থী তিনজন। এরমধ্যে একজন প্রত্যাহার করলে সরল অংক হবে দুই। তখন কর্মী-সমর্থক ও ভোটাররা দু’জনের মধ্যে একজনকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে তেমন একটা বেগ পেতে হবে না। আর তিনজন প্রার্থী হলে নানা মেরুকরণের মধ্য দিয়ে জয়ী হয়ে আসতে হবে একজনকে। চলমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
তবে, নিশ্চিত তথ্য পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরো পাঁচ দিন। তখন চোখের সাদা চশমায় ভেসে উঠবে ভোটের সকল সমীকরণ।