কমলগঞ্জে সরকারী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ঔষধ নেই : ভোগান্তিতে রোগীরা

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০১৯, ৩:০৩ অপরাহ্ণকমলগঞ্জ: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজলোয় প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের জন্য একটি সরকারী হাসপাতাল যা ৫০ বছর পর ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, নামের তুলনায় কাজের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বাকিগুলো হজবরল অবস্থা, কারণ স্বাস্থ্যসেবায় নেই কোন ভারসাম্য।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসন সংখ্যা ৫০ টি থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ৩১ টি তাও আবার আসনগুলো কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনে, নতুন ভবনটি রাখা হয়েছে সোপিছ হিসাবে। নতুন ভবনের নীচের রুম স্থান দেয়া হয়েছে ডাক্তারদের চেম্বার। আর পুরাতন ভবনে আসন সংকটের কারণে মেঝেতে ঠাঁই পাচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।
তাছাড়া রোগীদের সরকারী ঔষধ দেয়ার কথা থাকলেও খুব কম সংখ্যক রোগীই পাচ্ছে সরকারী ঔষধ। আর যা পাচ্ছে তার পরিমানও ১ থেকে ২টি ঔষধ। অনেকটাই যেন নিন্মআয়ের পরিবারগুলোর সংসার চালানোর হিসেবের মতো। তাছাড়া জনবল সংকট যেন কমতেই চাচ্ছেনা।
৭ জন এমএমবিবিএস ডাক্তারই সব রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ হিসাবে চিকিৎসাই দিচ্ছেন।
হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধ থাকলেও সব রোগীর ভাগ্যে ঔষধ জুটেনা বলে অভিযোগ করে করিমপুর থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লায়লা বেগম বলেন, পেটে ব্যাথা ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসি। পরে ডাক্তার আমার অবস্থা দেখে ১২ জুন রাতে হাসপাতালে ভর্তি করান। এখন পর্যন্ত নার্সই আমাদের সেবা দিচ্ছেন। তাছাড়া সরকারী কোন ধরনের ঔষধ আমাকে দেওয়া হয়নি। আমার পরিবারের লোক বাইরে থেকে ঔষধ কিনে এনেছেন।
ফুলবাড়ি চাবাগান থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রাজন রাজভর জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার দুপুরে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। এখন আগের থেকে কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছি। হাসপাতাল থেকে আমাকে ২টা ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। বাকি ঔষধগুলো আমার ভাই বাইরে থেকে কিনে এনেছে।
মেডিকেল অফিসার মুন্না সিনহা জানান, এখানে সবধরনের ঔষধ থাকলেও প্রয়োজনীয় আয়রন,ক্যালসিয়াম,কৃমির ঔষধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় আমাদের এখানে তার ঘারতি রয়েছে। উল্লেখ্য,কয়েকদিনের উতপ্ত তাপমাত্রা ও প্রচন্ড গরমে দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে কমলগঞ্জের জনজীবন।
টানা ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হুলকার মতোন। ঘরে-বাইরে কোথাও যেন স্বস্তির ছোঁয়া নেই। শিশু ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। সম্প্রতি শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া সহ নানার রোগের প্রকোভ বাড়তে শুরু করেছে।