লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আগর গাছ চুরি, পড়ুন কমলগঞ্জের আরো খবর
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ৭:৩৮ অপরাহ্ণকমলগঞ্জ প্রতিনিধি: কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে আগর গাছ চুরি হয়েছে। চোরচক্র ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মহিষমারার এলাকার রেলপধের ধার থেকে একটি আগর গাছ কেটেছিল চোরচক্র। সে গাছের ভিতরে আগরের কোন অস্থিত্ব না পেয়ে চোর চক্র গাছের খন্ডাংশ ফেলে যায়। এ ঘটনার ১০ দিনের মধ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত সোমবার ভোর রাতে চোরচক্র লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন বিশ্রামগারের সামন থেকে আবারও একটি আগর গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। তবে এবার গাছটি কেটে খন্ডাংশ করে পুরোটাই নিয়ে যায় চোরচক্র।
লাউয়াছড়া বনবিট ও ফরেষ্ট ভিলেজার সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর রাতে চোরচক্র জাতীয় উদ্যানের বিতর প্রবেশ করে বন বিশ্রামাগারের সামন থেকে একটি আগার গাছ কেটে পুরোটাই নিয়ে গেছে। লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির সদস্য সাজু মারছিয়াং জানান, রোববার রাত ৯টায় বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাসিয়া সদস্যদের বলেছিলেন গোপন সংবাদ রয়েছে রাতে আগর গাছ চোর হানা দিতে পারে। সেজন্য খাসিয়া সদস্যরা যেন আগর বাগানে পাহারা জোরদার করেছিল। অন্যদিকে বন বিশ্রামাগার এলাকায় সিপিজি (কমিউনিটি পেট্রালিং গ্রæপ) ও বনকর্মীরা পাহারা দিচ্ছিলেন। এর মাঝেও লাউয়াছড়া উদ্যানের বন বিশ্রামাগারের সামন থেকে চোরচক্র একটি আগার গাছ কেটে নিয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বন বিশ্রামাগারের সামন থেকে একটি আগর গাছ কেচে চুরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তবে গাছটি ছোট আকৃতির ছিল। এ বিষয়টি বন বিভাগ তদন্ত করে দেখছে বলেও তিনি জানান।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক আনিছুর রহমান আগর গাছ চুরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুব গুররুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১২৫০ হেক্টর উদ্যানের ভিতর স্বল্প লোকবল দিয়ে ও ফরেষ্ট ভিলেজার মিলে গাছ চুরি অনেকটা রোধ করা হয়েছে। এত পাহারার মাঝে কিভাবে এবার আগর গাছ চুরি হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উলেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মহিষমারার এলাকার রেলপথের ধার থেকে একটি আগর গাছ কেটেছিল চোরচক্র। সে গাছের ভিতরে আগরের কোন অস্থিত্ব না পেয়ে চোর চক্র গাছের খন্ডাংশ ফেলে যায়। এ ঘটনার ১০ দিনের মধ্যে সোমবার ভোর রাতে চোরচক্র লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন বিশ্রামগারের সামন থেকে আবারও একটি আগর গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। তবে এবার গাছটি কেটে খন্ডাংশ করে পুরোটাই নিয়ে যায় চোরচক্র।
কমলগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত কাজ চলছে
রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ২টায় সৃষ্ট আকস্মিক কালবৈশাখি ঝড়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামতে বিদ্যুৎকর্মীরা সারাদিন লাইন মেরামত কাজ করেন। ভোর রাতের ঝড়ে আবারও নতুন করে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ৩দিন ধরে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে চলছে বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ। গাছ ভেঙ্গে পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ও খুঁটি ভেঙ্গে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ স ালন ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
রোববার বেলা ২টায় প্রবল বেগে আসা কালবৈশাখি ঝড়ে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনউষার, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর, টিলাগাঁও ও শরীফপুর ইউনিয়নের শতাধিক স্থানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে ও ক্ষুটি ভেঙ্গে পড়ে। শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের বিমানবন্দর এলাকায় সড়কধারে ও কেছুলুটি গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪ টি খুটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে দুমড়ে মুছড়ে গেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত এ এলাকায় নতুন করে খুটি স্থাপন করে তার টানা যায়নি। ফলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত) শমশেরনগর বিমান বন্দর এলাকা, কেছুলুটি, দৌলতপুর, পূর্ব ও পশ্চিম ভাদাইর দেউল মোকামবাজার) এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার ভোর রাতের ঝড়ে আবার কুলাউড়া উপজেলাধীন বেশ কিছু এলাকার বিদ্যুৎ লাইন নতুন করে ক্ষতিগস্ত হয়েছে। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আ লিক অফিসের এজিএম (কম) ওবায়দুল হক বলেন, এখন তারা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে চলেছেন। রোববার ২টার কাল বৈশাখী ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে গিয়ে আবার সোমবার ভোর রাতের ঝড়ে দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করে কমলগঞ্জে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করলেও মঙ্গলবার ভোর রাতে কুলাউড়া উপজেলায় ঝড়ে নতুন করে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ যেন প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আ লিক অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মোবারক হোসেন সরকার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের পরপরই কমপক্ষে একশত স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মাঝে কমপক্ষে ২০টি স্থানে খুটি ভেঙ্গে, শতাধিক স্থানে তার ছিলে ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে ক্ষতি হয়েছে। বেশীর ভাগ স্থানে গাছগাছালি ভেঙ্গে তার ছিড়ে ও লাইন মাটিতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি আরও বলেন, সবকটি স্থান পরীক্ষা করে পুরো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করে পুরো কমলগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কত সময় লাগবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
কমলগঞ্জে ৩ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৩ সন্তানেন জননী বিষপানে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে পতনঊষার ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে।
জানা যায়, শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কবীর মিয়ার স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী তায়জুন বেগম (৪৫) বিকালে বিষপান করলে সাথে সাথে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সন্ধ্যায় কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খবর ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবর স্থানে লাশ দাফন করা হয়। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অরূপ চৌধুরী বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনা স্বীকার করে বলেন,