ছিনতাইকালে জনতার হাতে ধরা খেলো পুলিশ কনস্টেবল!

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ২:০৬ অপরাহ্ণব্যবসায়ীর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন মহিদুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ওই ব্যবসায়ীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে মুহিদুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম ছালেক প্রামাণিক। তিনি কালাই উপজেলার পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা মেসার্স মীম পোল্ট্রি ফার্মের মালিক।ছালেক প্রামাণিক বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টা ২ মিনিটে ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখা থেকে চেকের মাধ্যমে আট লাখ টাকা উত্তোলন করি। পরে সহকারী কালাই পুনট সরদার পাড়ার বাসিন্দা ওবায়দুলকে (৩২) সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেই। পথিমধ্যে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের বানিয়াপাড়া ডালিম ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছলে পিছন দিক থেকে আসা একজন মোটরসাইকেল চালক আমাদের গাড়িটি লক্ষ্য করে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করার নেওয়ার চেষ্টা করে। ’তিনি আরও বলেন, ‘আমি দ্রুত মোটরসাইকেলটি বটতলী বাজারে নিয়ে গিয়ে থেমে গেলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনাটি খুলে বললে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে তাকে ধরে ফেলে। পরে ওই ব্যক্তি ক্ষেতলাল থানার সেকেন্ড অফিসার লুৎফর রহমানকে ফোন করে ডেকে নিলে তিনি তাকে থানা হেফাজতে নেয়। পরে জানতে পেরেছি, তিনি পাঁচবিবি থানার পুলিশের একজন কনস্টেবল।’টাকা ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান ছালেক প্রামাণিক।ওই ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ওবায়দুল বলেন, ‘ডালিম ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে আমাদের ধাওয়া করে ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। আমরা জানতাম না, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল। ’মহিদুলের বরাত দিয়ে ক্ষেতলাল থানার সেকেন্ড অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, ‘একটি মোটরসাইকেলে করে ফেন্সিডিল পাচারের সংবাদে সে তাদের ধাওয়া করে। পরে বটতলী বাজারে ঘটনাটি সম্পূর্ণরুপে বিপরীত হলে তাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী বটতলী বাজারের ট্রাকচালক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘ব্যবসায়ী এবং পুলিশ কনস্টেবল যখন বটতলী বাজারে পৌঁছে, তখন ওই ব্যবসায়ীর ব্যাগে আমরা শুধু টাকা দেখেছি। এ সময় কোনো প্রকার ফেন্সিডিল দেখতে পাইনি। ’এদিকে কনস্টেবল মহিদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’