বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচনে ঘরগুছাতে ব্যস্ত প্রার্থীরা

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৭ অপরাহ্ণসোহান আহমদ।।
দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পঞ্চখন্ড তথা বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮মার্চ। প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে কঠোর বার্তা থাকার কারণে স্বতন্ত্রভাবে জাতীয়বাদী মতার্দশের কেউ এ নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
তাছাড়া তাদের শরিক দলের কেউও অংশ নিচ্ছেন না নির্বাচনে। যদিও অনেকে আগ্রহ ছিলো।দলের কঠোর মনোভাবের কারণে অনেকে পিছু হঠতে হয়েছে।
বিএনপি না আসায় শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা কিছুটা ফায়দা পেলেও এখানে মাথাব্যর্থার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজ দলের বিদ্রোহীরা। তারা তাদের নিজের জনপ্রিয়তা চ্যালেঞ্জ কওে আটঘাট বেঁধে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে অনেকটা মরিয়া।
ইতিমধ্যে দলীয় ফোরাম থেকে নৌকায় প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান।
তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ পরিবারে সন্তান মোহাম্মদ জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আ’লীগের কার্যকরি সদস্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামীম আহমেদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব।
ইতিমধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৮ ফেব্রæয়ারি। তবে নিজেদের মাঠ পাকাপোক্ত করতে প্রতীকের দিকে চেয়ে তাকতে চাননি প্রার্থীরা। প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গা তৃণমূলের নেতাকর্মী নিয়ে মতবিনিময় করছেন। লক্ষ্য একটাই প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় আগেভাগে নিজের অবস্থান মজবুত করে নিতে। গ্রামে-গঞ্জে সভা করছেন। মুরব্বিদের আর্শিবাদ পরামর্শ গ্রহণ করছেন।
মতবিনিময় সভা থেকে উঠে আসা স্থানীয় বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করে কৌশলী ভূমিকায় অবতীর্ণ করতে বেশ সর্তক।
২৫১.২২ কিলোমিটারের এ উপজেলা জনসংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩শ’ ৭০জন। নির্বাচনে মোট ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৬’শ ১৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৬৫ হাজার ৭৭জন ও মহিলা ৭১ হাজার ৪শ’ ১১জন।
জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে এখানে কৃষিজীবি পরিবারের একটি বিশাল প্রাধান্য থাকবে। কেননা এই উপজেলায় অনন্যা জীর্বিকা নির্বাহের পরিবারের সংখ্যায় তুলনায় কৃষিজীবী পরিবারের সংখ্যা বেশি। ১৫ হাজার ৫শ’ ৪৪ কৃষিজীবী পরিবারের বাস প্রবাসী অধ্যুসীত এ উপজেলায়। সুতরাং তাদের রায় যে দিকেই যাবে সে দিকের ভাল্লা যে বারী হবে, এতে কোন সেন্দহ নেই। এরকম আরো ছোট-বড় বেশ কিছু দিক গুরুসহকারে জনবান্ধব বিষয়াদী রেখে তাদের আশা-আকাংখা, চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদেরকেও নিয়ে চলছে প্রার্থীদের ঘামজড়ানো মাঠ পর্যায়ের হিসেব কষা। একটি প্রতিযোগিতা পূর্ণ নির্বাচনের সুভাষ বইছে প্রার্থী-ভোটাদের মধ্যে।
যে প্রার্থী ব্যক্তি, পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক অবস্থান ভোটারদের কাছে তুলে ধরে ভোটারদের আস্তা অর্জন করতে পারবেন, ব্যালট পেপারে তার মার্কায় সীল পড়বে বেশি। পক্ষান্তরে শেষ হাসি তিনিই হাসবেন।
তাছাড়া এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি লায়ন হাজি আবুল হাসনাত। প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়ন অবৈধ হলেও রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আপীল শুনানীতে আবুল হাসনাতের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন উপজেলা পরিষদেও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি শিব্বির আহমদ, বিয়ানীবাজার পৌর আ’লীগের সহ সভাপতি খছরুল হক খছরু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহŸায়ক মো. জামাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল হক রুনু।
নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা বেগম লিমা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার ও জাহানারা বেগম।