সিলেট-৬: শমসের মবিন চৌধুরী গোপন তালিকায়!

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৩:৪৮ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) : নির্বাচনি কার্যক্রমের শুরু থেকে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয় ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। প্রথমে কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্যকে ভাগিয়ে দলে ভেড়ায় তারা। চমক দিয়ে সূচনা করলেও আসনভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার দিন মাত্র ৮২ জনকে মনোনয়ন দেয় দলটি। এর মধ্যে সবশেষ মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন ৬০ জন। তবে এর মধ্যে ছয়জন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন, ফরিদপুর-১ আসনে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, বরগুনা-২ আসনে অধ্যাপক আবদুর রহমান, সাতক্ষীরা-৪ আসনে এইচ এম গোলাম রেজা, নীলফামারী-১ আসনে জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, জামালপুর-৪ আসনে মামুনুর রশিদ এবং সুনামগঞ্জ-৪ আসনে দেওয়ান শামসুল আবেদিন। এর বাইরে দলটির মহাসচিব মো. শাহ্জাহান চাঁদপুর-৪, সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী পাবনা-২ ও আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যদিও গুঞ্জন রয়েছে, দলটি আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রকাশ্যে আঁতাত না করলেও গোপনে কিছু আসন ভাগাভাগির কাজ করেছে। বিএনএমের প্রার্থীদের আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাঠে থাকবে। কিন্তু মাঠের পরিবেশ এমনভাবে রাখা হবে যেন বিএনএমের প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হন। এর মধ্যে দলটির মহাসচিব মো. শাহ্জাহানসহ ৩-৪ জন হেভিওয়েট প্রার্থী জয়ী হতে পারেন। এ বিষয়ে বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহ্জাহান বলেন, এমন গুঞ্জনের বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমি শুনিনি। যেহেতু আমি দলটির মহাসচিব, সে হিসেবে সরকারের সঙ্গে আঁতাত হলে অবশ্যই আমি জানব। এ রকম কোনো বিষয়ে কথা হয়নি। এখন পর্যন্ত আপিল করাসহ ৬০ জনের বেশি প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। পরিবেশ ভালো থাকলে অনেকে জয়ী হবেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) : নির্বাচনে অংশ নেওয়া নতুন আরেক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিল- ৩০০ আসনেই তারা প্রার্থী দেবে। কিন্তু পরে ১৩০ জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে। তবে সবশেষ ৮২ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। নির্বাচনি মাঠে লিবারেল ইসলামিক জোট গঠন করলেও মাঠে একাই দৌড়াচ্ছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। এর মধ্যে দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী চট্টগ্রাম-২ ও ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়ন জমা দেন। গুঞ্জন রয়েছে, দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে জয়ী হওয়ার জন্য মাঠের পরিবেশ করবে আওয়ামী লীগ। যদিও ওই আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তাকে এবার মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। বর্তমানে দলটির পক্ষ থেকে খাদিজাতুল আনোয়ারকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাঠে থাকলেও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যানকে জিতিয়ে আনা হবে বলে শোনা যায়। গুঞ্জনটির অনেকটা সত্যতা মিলে গতকাল দলটির চেয়ারম্যান ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ৩০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। ওই বৈঠকে আসন ভাগাভাগি হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীকে কয়েকবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে দলটির দফতর সম্পাদক মো. ইবরাহীম মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। আর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের কী সভা হয়েছিল সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চেয়ারম্যান বলতে পারবেন। আর ৮২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৫-২০ জন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন তারা জয়ী হবেন আশা করি। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন