সিলেট-৬ আসনে থাকছে নৌকা?

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:২০ অপরাহ্ণস্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে তৃণমূল বিএনপি’র নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরীর একাধিক বৈঠক হয়েছে। তবে, আসন বণ্টন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সিলেট-৬ আসনের আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থীরা সু-খবরের আশায় রয়েছেন।
সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। এ আসন থেকে তিনি নৌকার টিকেটে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পরপর দু’বার দায়িত্ব পালন করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে আবারও আওয়ামী লীগ তাদের হেভিওয়েট প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে তিনি যাবতীয় প্রস্তুতি জোরেশোরে নিচ্ছেন। দু’উপজেলায় করেছেন বিশেষ বর্ধিত সভা। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের সকল মতানৈক্য ভুলে নৌকা বিজয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তবে, সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী প্রার্থী। আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপি’র সমঝোতা হলে এ আসনটি তৃণমূল বিএনপি তাদের দখলে নিতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এভাবে চক কষে এগুচ্ছে তৃণমূল বিএনপি।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আ’লীগ-তৃণমূল বিএনপি আসন সমঝোতা হলে ঐদিন সিলেট-৬ আসনে যেকোনো একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। গণমাধ্যম কিংবা সাধারণ জনগণের মতে, সিলেট-৬ আসনে বিগত নির্বাচনে নাহিদকে ছাড় দিয়েছিলেন শমসের। এজন্য এবার নাহিদ ছাড় দিবেন শমসেরকে। নতুবা সমঝোতার ভিত্তিতে নাহিদ-শমস দুজন নির্বাচন করতেও পারেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাহিদের আসনে তৃণমূল বিএনপি’কে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। আবার তৃণমূল বিএনপি এ আসনকেই সমঝোতার প্রধান মাপকাঠি হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। কারণ এ আসনেই তাদের চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী নির্বাচন করছেন। এক আসনে দু’হেভিওয়েট প্রার্থী হওয়ায় কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না।
আগামী দু’দিন সমঝোতার টার্নিং পয়েন্ট। এ যেন ভোটের আগেই অগ্নিপরীক্ষা! নেতাকর্মীরাও সেদিকে তাকিয়ে আছেন। এ সুযোগ নিচ্ছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা। ডালপালা মেলছে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, শেষমেষ এ আসনে থাকছে নৌকা।
নাহিদ-শমসের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জিতে তা দেখার অপেক্ষায় গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রায় পৌণে ৫ লাখ ভোটার। এরপর নির্বাচনী মাঠে হবে প্রার্থীদের সকল আমলনামার হিসেবে নিকেষ।