অতি বামদের আদর্শ নেই, তারা বলে সরকারকে উৎখাত করতে হবে : শেখ হাসিনা

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ৮:০৮ অপরাহ্ণবাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন অতিডানপন্থি ও অতি বামপন্থিরা মিশে একাকার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “এখনকার যে কী আদর্শ, কে-যে কতটুকু বিচ্যুত- সেটাই প্রশ্ন। অতি বামদের আদর্শ নেই, তারা বলে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমাদের অপরাধটা কী? আর বলে, নির্বাচন বানচাল করতে হবে।”
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের সচেতন করেছি।”
অবরোধ কর্মসূচিতে বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিকাণ্ডের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আগুন নিয়ে খেলছে। বিএনপি ও তাদের জোটকে বলবো- আগুন নিয়ে খেলা বাংলাদেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, এটা তারা বানচাল করতে পারবে না। বাংলাদেশের নির্বাচন জনগণের অধিকার। জনগণ তার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, যাকে দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। মানুষকে গণতান্ত্রিক ধারা সম্পর্কে সচেতন আমরা করেছি।”
টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা তৃণমূল মানুষকে লক্ষ্য রেখেই করা। শুধু মুষ্টিমেয় লোক লাভবান হবে- ক্ষমতায় এলে যা স্বৈরশাসকরা করতো, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তারা কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করতো, হাতে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য, ধন-সম্পদ তুলে দিয়ে, তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করতো। আমাদের সেটা ছিল না, আমাদের ছিল জনগণের ক্ষমতার ক্ষমতায়ন। তৃণমূলের মানুষ যাতে ক্ষমতা পায় তা করা।”
পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে সরকারে উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৫% বেতন বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ৫৬% বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও দেখলাম ১৮-১৯টা কারখানা ভাঙচুর, আন্দোলন। আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিল তারা কত শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে শ্রমিকদের? বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আমলে কিছুই বাড়ায়নি। যেটুকু করার আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমি খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার অনুমতিটা দিয়েছি। সে স্বাধীনভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে। কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে যদি চিকিৎসার জন্য যেতে হয়, তাহলে তাকে কোর্টে যেতে হবে। আমরা বলেছি কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিয়ে অনুমতি নিক। সেটা না করে ওইটা নিয়ে আবার আন্দোলনের চেষ্টা করে। আসলে এরা ইস্যু হিসাবে দেখে। আদৌ যদি চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠাতো তাহলে বিএনপির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হতো।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “তারেক রহমান লন্ডনে বসে হুকুম দেয়, আর এখানে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, যে দলের নেতাই নেই, মুণ্ডুহীন দল, মাথাই নাই। সে নেতা কখনোই আসবে না। আসার ইচ্ছা থাকলে চলে আসতে পারতো। তার হুকুমে বাংলাদেশে যারা মানুষের ক্ষতি করে যাচ্ছে, আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে তাদের ক্ষতি করছে, এরকম একটা দায়িত্ব তারা নিচ্ছে কেন?”
তিনি বলেন, “তারা নির্বাচন করতে চায় না, কারণ এটা মুণ্ডুহীন একটা দল হয়ে গেছে। কারণ, সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া নির্বাচন করতে পারবে না। এ জন্য তারা নির্বাচন চায় না। চায় না বলেই নির্বাচন বানচাল করতে হবে। বানচাল করে তাদের লাভটা কী হবে? বাংলাদেশের মানুষের লাভটা কী হবে?”