হুমায়ূন রশীদ চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ বুধবার

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫১ অপরাহ্ণআগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে সরকার বিরোধীদের একের পর এক কর্মসূচি। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশের দিন রাজধানীতে শান্তি সমাবেশ করে বড় শোডাউন করে আওয়ামী লীগ। এবার তপশিল ঘোষণার আগে মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ কর্মসূচি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ ও সব অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কর্মসূচি পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত যেন হরতাল, অবরোধ ও সমাবেশের নামে নাশকতা করতে না পারে সেজন্য সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থানে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, দেশব্যাপী বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বুধবার (পহেলা নভেম্বর) সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীসহ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি ও আরামবাগে জামায়াত মহাসমাবেশ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে। এতে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
এরপর ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত। হরতাল শেষে সারাদেশে মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে তিন দিনের (৩১ অক্টোবর ভোর থেকে ২ নভেম্বর) অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।