রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে একমত জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত সব দেশ
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৫৮ অপরাহ্ণমাত্র ১০ মাসের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমূল পাল্টে গেল জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান। ২০২২ সালে নভেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের বালি ঘোষণাপত্রে যেখানে ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, সেখানে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্রে ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ’ উল্লেখ করা হয়েছে। আর যে ঘোষণাপত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এর আগে এই দিন সকালে নয়াদিল্লির ভারত মন্ডপম কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয় দুই দিনের জি-টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন।
গতবার বালিতে যখন জি-২০ সম্মেলন হয়েছিল, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি সব দেশ। আমেরিকার মতো দেশ যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার উপর যাবতীয় দোষ চাপিয়েছিল। তবে সেই পথে হাঁটেনি ভারত। এবার ভারতে এসে অবশ্য যুদ্ধের জন্য শুধু রাশিয়াকে দোষারোপ করা হয়নি।
কূটনৈতিক মহলের মতে, ইউক্রেনের যুদ্ধের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে যে এককভাবে দোষারোপ করা হয়নি, তা ভারতীয় কূটনীতির বড় জয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমী দেশগুলো রাশিয়াকে একঘরে করার চেষ্টা করছে। সেটাই জি-২০ এর ক্ষেত্রে সবথেকে জট ছিল। ভারতীয় কূটনীতির ম্যাজিকে সেই জটও কেটে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দিল্লি জি-২০ ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রসংঘের সনদের সামঞ্জস্য রেখে কোনও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও অঞ্চল অধিগ্রহণের জন্য হুমকি দেওয়া বা বাহিনী প্রয়োগ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে সব দেশ। পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি দেওয়া বা পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করার বিষয়টি একেবারে বরদাস্ত করা হবে না।’
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, ‘সব দেশকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাসহ আন্তর্জাতিক আইনের নীতি মেনে চলতে বলা হচ্ছে।’ সেইসাথে দিল্লি ঘোষণাপত্রে সব দেশ একমত হয়েছে যে এটা যুদ্ধের যুগ নয়।