চান্দগ্রামে দু’ছাত্রের বিরোধে সড়ক অবরোধ ।। যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে ছুরিকাঘাত
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০২৩, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: বড়লেখার দাসের বাজার আদর্শ কলেজের দু’ছাত্রের বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় দু’ঘন্টা অবরোধ ছিল।
এ নিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার একপর্যায়ে চান্দগ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী শরীফুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা কিল-ঘুষি ও ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনায় বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তবর্র্তী সুনাই নদীর ব্রীজ এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি, বিয়ানীবাজার থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানা যায়, বড়লেখার দাসেরবাজার আদর্শ কলেজে বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে। বড়লেখার এক ছাত্রের সাথে বিয়ানীবাজারের এক ছাত্রের পূর্ব-বিরোধ ছিল। বড়লেখার কলেজ ছাত্রের বোন বিয়ানীবাজারে এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুরে পরীক্ষা শেষে বড়লেখার কলেজ ছাত্র তার বোনকে আনতে যায়। বিয়ানীবাজার এলাকায় তাকে একা পেয়ে বিয়ানীবাজারের কলেজ ছাত্র তাকে আটকিয়ে মারধর করে। এর জের ধরে বিয়ানীবাজারের বারইগ্রাম ও বড়লেখার চান্দগ্রাম এলাকার ছাত্র-জনতার মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিয়ানীবাজারের বারইগ্রামের উত্তেজিত ছাত্র-জনতা সড়কের সোনাই নদীর ব্রীজের ওপর সড়ক অবরোধ করে।
অপরদিকে, বড়লেখার চান্দগ্রামের ছাত্র-জনতাও সেখানে অবস্থান নেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চান্দগ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী শরিফুল ইসলাম নিজের মালিকানাধীন বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় উঠে মোবাইল ফোনে জরুরি আলাপে ছিলেন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী রইয়াছ আলী ও তার সহযোগীরা বিল্ডিংয়ে উঠে তাকে কিলঘুষি এবং চুরিকাঘাত করে। এতে তার চোকে মারাত্মক জখম হয়। সন্ত্রাসী রইয়াছ বিয়ানীবাজার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুন নুর এর পুত্র। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত শরীফুল ইসলামকে সাথে সাথে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই বারইগ্রাম ও চান্দগ্রামের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সড়কে অবস্থানের কারণে প্রায় দুই ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে দু’উপজেলার প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ জানান, উত্তেজনার খবর পেয়ে তিনি এসিল্যান্ড, থানার ওসিসহ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। দুই ছাত্রের বিরোধের জেরেই মুলত ঘটনাটি ঘটেছে। দুই উপজেলার সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেই বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।