সৃজনকর্মের কারিগর অধ্যাপক কিবরিয়া’র লাশ কলেজ ক্যাম্পাসে, জানাজা সোয়া দু’টায়
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১:০৪ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার এর প্রথম জানাজার নামাজ আজ শনিবার বেলা সোয়া দু’টায় বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে স্যারের লাশ প্রিয় কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পৌছেছে। সৃজনকর্মের কারিগর অধ্যাপক কিবরিয়া’র নিথর মুখ শেষবারের মতো দেখে নিচ্ছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। অনেকের চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি।
এখানে জনাজা শেষে তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হবে মুড়িয়া ইউনিয়নের ছোটদেশ গ্রামে। সেখনে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ বেলা সাড়ে ৩ টায় ছোটদেশ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ছোটদেশ (হাজিটিলা) গ্রামের সন্তান অধ্যাপক গোলাম কিবরীয়া তাপাদার ছাত্রাবস্থায় ডাক বিভাগে চাকুরি করেন। শিক্ষাজীবন শেষে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে (বেসরকারিকালীন সময়ে) প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে কুড়ারবাজার কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। এরপর বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে সরকারিকরণ হলে তিনি ফের এ কলেজে যোগদান করেন।
অধ্যাপক গোলাম কিবরীয়া পরবর্তীতে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি লাভ করেন। অধ্যাপক কিবরিয়া সিলেট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
এদিকে, অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া তাপাদার এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, সিলেট জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, শিক্ষাবিদ আলী আহমদ ও মজির উদ্দিন আনসার, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির উদ্দিন, সিলেট রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মুমিত, দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান, শিক্ষক ও সাংবাদিক খালেদ জাফরী, সাপ্তাহিক বিয়ানীবাজার বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছাদেক আহমদ আজাদ।
পৃথক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।
নেই।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাত পৌণে ৮ টায় সিলেট নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ভাই-বোন, দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যু খবরে দেশ-বিদেশে বসবাসরত অজস্র ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি দীর্ঘদিন থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
তিনি পরিবার নিয়ে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের একটি ফ্লাটে বসবাস করতেন।