সিলেটে যুবলীগের ৮ ইউনিটে কমিটি গঠনে বেশ সাড়া

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণছাদেক আহমদ আজাদ: সিলেটের পাঁচ উপজেলা ও তিন পৌর যুবলীগের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত হয়েছেন। এতে পদ-পদবি পেতে নানা রকম স্ট্যাটাসে সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। একেক ইউনিট কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হতে রেকর্ড সংখ্যক নেতাকর্মী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার শেষ দিনে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা হয়েছে। এখন যুবলীগের দায়িত্বশীল এ দু’নেতা আবেদনগুলো সমন্বয় করে তালিকা তৈরির কাজ করছেন। পরবর্তীতে স্বচ্ছতা বজায় রেখে যোগ্যতা অনুযায়ী পদ বণ্টন করবেন। এমনকি কমিটি গঠনে প্রয়োজনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মতামত নেওয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কি-পদ নিজেদের দখলে নিতে স্থানীয় বলয় বা গ্রুপের শীর্ষ নেতারা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন। সিলেটের গণ্ডি পেরিয়ে ইতিমধ্যে বিদেশ থেকেও জোর লবিং চলার আভাস পাওয়া গেছে। তবে, যতই লবিং করা হোক না কেন, রাজনৈতিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা শীর্ষ পদ পাবেন। অযোগ্যদের হাতে যুবলীগের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
যেহেতু, আহ্বায়ক কমিটি রাজপথে থেকেই সম্প্রতি সময়ের সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবেলা করবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই সামনে অগ্রসর হচ্ছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শামীম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ। তাঁরা কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও পৌর যুবলীগকে অনেকটা শক্তিশালী এবং ঢেলে সাজাতে কাজ করছেন। তাদের ব্যাপারে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীরাও বেশ আস্থাশীল রয়েছেন। আবার, কেউ কেউ আওয়ামী লীগের যাঁতাকলে পড়ে শেষ পর্যন্ত কমিটি না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শামীম আহমদ এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে বিচ্ছিন্নভাবে আবেদন জমা হয়েছে। এজন্য এ মুহূর্তে কতটি আবেদন পেয়েছি তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে নিঃসন্দেহে বলতে পারি, ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তিনি বলেন, শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের সহযোগিতা নেব। তবে কোন লবিং কিংবা হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না।
সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন পর যুবলীগের কমিটি হবে জেনে নেতাকর্মীরা বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। আমাদের কাছে আবেদন জমা দিতে এসে পদপ্রত্যাশীরা নিজেদের ত্যাগ ও নানা দুঃখ-বঞ্চনার কথা বলেছেন। এমনকি আগামীতে যুবলীগকে আরো গতিশীল করার পাশাপাশি রাজপথে ভ্যানগার্ড হিসেবে দাঁড়ানোর সংকল্পও তারা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক চলতি মাসে কমিটি হবে। এতে কোন সন্দেহে অবকাশ নেই।
জানা যায়, যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ২০০৪ সালে, বালাগঞ্জে ২০০৫, বিয়ানীবাজারে ২০০৬, বিশ্বনাথে ২০১২ ও সিলেট সদর উপজেলায় ২০০৬ সালে। এসব উপজেলায় দীর্ঘদিন পর গত বৃহস্পতিবার নতুন করে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় জেলা যুবলীগ। এলক্ষ্যে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে তারা জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ করেন।