বিয়ানীবাজারে আলীনগর চেয়ারম্যানের সালিশী বিচারে প্রতিপক্ষের হামলা : আহত ৩
![](https://beanibazarbarta24.com/images/icon.png)
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুলাই ২০১৯, ১:১৫ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজার :: বিয়ানীবাজারে পূর্বের দু’পক্ষের সংঘর্ষ নিরসনের লক্ষে আলীনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের সালিশী বৈঠকে আবারও প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘর্ষের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। নিরসনের লক্ষে আয়োজিত বৈঠকে চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ উপস্থিথ থাকা সত্বেও প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন জুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আহতদের পরিবারের দাবী, পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষের দ্বারা হামলা করা হয়েছে।
জানাযায়, প্রায় ৪ মাস পূর্বে এলাকায় একটি খেলাকে কেন্দ্র করে আলীনগর পূর্বের গ্রামের অধিবাসী বাজিদ আহমদের ছেলে ছাদ আহমদ, ইসমাঈল আলীর ছেলে আজহার আহমদ রিফাত, ওয়াজিদ আলীর ছেলে সাইদুর রহমান ও মামুন আহমদ গংরা টিকরপাড়া এলাকার ফয়জুর রহমানের ছেলে জুবের আহমদ বেধরক মারপিট করে। তাদের লাঠিপেটায় জুবের আহমদকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগীতায় আলীনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মামুন জুবের আহমদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বিষয়টি বিয়ানীবাজার থানা পর্যন্ত গড়ালে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা মামলা না দেয়া এবং বিষয়টির সুষ্ঠু বিচার করে দেবেন বলে দায়িত্ব নেন। মারামারির বিষয়টি নিশপত্তির লক্ষে (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন অফিস সভা কক্ষে সালিশী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি নিরসনের জন্য ফয়জুর রহমান, তার বড় ভাই মাসুক মিয়া, ফয়জুর রহমানের ছেলে জুবের আহমদ, রুহেল আহমদ, শেখ ফয়সল আহমদ ও শামিম আহমদ যথা সময়ে সভাস্থলে উপস্থিত হন। একই সময় প্রতিপক্ষ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে ছাদ আহমদ, আজহার আহমদ রিফাত, সাইদুর রহমান, মামুন আহমদ গংরা উপস্থিত হয়। এ সময় কথা কাটাকাটির জেরে ফয়জুর রহমানের বড় ছেলে জুবের আহমদের উপর প্রতিপক্ষ আক্রমণ করে। তাকে বাচাতে এগিয়ে গেলে ২য় ছেলে রুহেল আহমদ ও ফয়জুর রহমানের উপর হামলা করা হলে বাবা ছেলেসহ ৩ জন গুরুতর আহত হন। তারা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এব্যাপারে আহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আাবারও আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। মারামারি নিরসনের নামে আমাদের ইউপি অফিসে ডেকে নিয়ে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।