মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকশানা বেগম লিমার স্ট্যাটাস

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০১৯, ৮:৫৮ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়্যারম্যন-১ মিসেস রোকসানা বেগম লিমা সম্প্রতি তাঁর কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে।
বুধবার (০৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টায় বিয়ানীবাজারের জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর ব্যক্তি নামীয় ফেসবুক একাউন্টে আপলোড করা বক্তব্য হুবহূ আমাদের অগণিত পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
রোকসানা বেগম লিমা লিখেছেন
“প্রিয় বিয়ানীবাজারবাাসী,
(দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত )
আসসালামু আলাইকুম ও আদাব।
অদ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে আমাকে নিয়ে কিছু লেখা ও মন্তব্য আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আপনারা যারা লিখতেছেন আপনাদেরকে আমি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে হয়তো সঠিক তথ্য আসতেছেনা তাই আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি কিছু বিষয় উপস্থাপন করতে চাই।
আমি কোন অনিয়মের সাথে আপোষ করি নাই। অনিয়মের যে অভিযোগ করেছি তা এখনও বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্তাধীন তাই তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়ে আর বেশ কিছু বলা যাবে না সময়মতো সব কিছু জানবেন।
গত ২৫/০৬/১৯ ইং তারিখে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি মহোদয় আসলে সেই অনুষ্ঠানে আমি বিয়ানীবাজার উপজেলর নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার সমস্যা ও দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে চেয়েছিলাম কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে, আমাকে বক্তৃতার কোন সুযোগই দেওয়া হচ্ছিল না।
তাই আমি বিয়ানীবাজারবাসীর স্বার্থে নিজ উদ্যোগে মাইক্রোফোন নিয়ে প্রতিবাদ করি এবং বিগত পাঁচ বছরে যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে তা তুলে ধরি। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদেরকে অবগত করি।
সংবাদ সম্মেলন করার পর বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের উদ্যেগে ইউ এন ও সাহেব, পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, সকল ইউপি চেয়ারম্যানগন, উপজেলা প্রশাসনের সকল সিনিয়র অফিসার নিয়ে বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনায় আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করি। ইউ এন ও সাহেব দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সকল ইউ পি চেয়ারম্যানগন, মেয়র সাহেব, ভাইস চেয়ারম্যান, এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব সবাই একমত হয়ে আশ্বাস দেন যে ভবিষ্যতে আর কোন অন্যায়, অনিয়ম, বা বৈষম্য হবে না। এবং ভবিষ্যত সকলকে নিয়ে একসাথে চলার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব দ্বায়িত্ব নিয়ে বলেন অতীতে কি হয়েছে জানিনা তবে আমার সময়ে কোন অবিচার, অন্যায়,বৈষম্য হবে না। এবং নারী ফোরামের বরাদ্ধ নিয়ে যে অনিয়ম হয়েছে সেই বিষয়টি যদিও আগের পরিষদের তদুপরি নারী উন্নয়ন ফোরামের সকল সদস্য এবং ইউ এন ও সাহেবকে নিয়ে বসে পর্যালোচনা করে দেখার আশ্বাস দেন।
সকলের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব, ভাইস চেয়ারম্যান সাহেব, পৌর মেয়র, সকল ইউ পি চেয়ারম্যানগনের প্রতিশ্রিুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং সকলকে নিয়ে একসাথে চলার আশাবাদ ব্যক্ত করি।
পরের দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের সভাপতিত্বে বিয়ানীবাজারের সকল সাংবাদিক ভাইদের নিয়ে ইউএনও সাহেব, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, কয়েক জন ইউ পি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি অবগত করা হয়। এখানেও আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করি।
আমি সকলকে পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই। আমি অনিয়মের সাথে আপোষ করিনি এবং কখনো করব না। আমি আগামী পাঁচ বছর দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা পরিচালনার প্রতিশ্রুতি পেয়ে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যাক্ত করি।
কিন্তু অতীতের দুর্নীতি,অনিয়মের ব্যাপারে কোন আপোষ করিনি। ভবিষ্যতেও কোন অনিয়মের সাথে আপোষ করবনা। অনিয়ম দুর্নীতি হলে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে মোকাবেলা করব। বিগত পাঁচ বছর আমাকে যেভাবে দেখেছেন আগামী পাঁচ বছর ও ঠিক তেমনই দেখবেন ইনশাআল্লাহ।
আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত তাই আপনাদেরকে নিয়েই আমার পথচলা। উপজেলা বাসির সেবা করাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। যতদিন এ পদে থাকব ততদিন পদের ক্ষমতা অনুযায়ী জনগণের সেবা করে যাব। সেবাই আমার অঙ্গীকার।”