উপবন ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত দুই নারীর পরিচয় শনাক্ত, নিহত ৪
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০১৯, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণকুলাউড়া: সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের কুলাউড়ার বরমচাল রেল স্টেশনের পাশে মারাত্মক দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের মধ্যে দুজনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিচয়প্রাপ্ত দুজনই নারী এবং তাদের একজনের নাম মনোয়ারা পারভীন (৪৮) ও অপরজন ফাহমিদা আক্তার (২০)।
জানা যায়, মনোয়ারা পারভীন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পৌরসভার টিটিডিসি এরিয়ার বাসিন্দা আব্দুল বারীর স্ত্রী। তিনি রোববার রাতে সিলেট থেকে মেয়ের বাসা থেকে উপবনযোগে কুলাউড়ায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় উনার মেয়ে ও বোনের মেয়ে সাথে ছিলেন। দুর্ঘটনায় ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে উনার মাথা, মুখ ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে তাঁর সাথে থাকা মেয়ে ও বোনের মেয়ে সামান্য আহত হন।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত আরেকজন ফাহমিদা আক্তার সিলেটের মোগলাবাজার থানার আব্দুল্লাপুর এলাকার আব্দুল বারী মেয়ে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ নার্স।
ফাহমিদার ভাই আব্দুল হামিদ জানান, রাতে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বোনের খোজে ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে বোনকে না পেয়ে কুলাউড়া হাসপাতালে এসে মৃতদের মধ্যে বোনকে সনাক্ত করেন।
তিনি বলেন, নার্সিং ট্রেনিংয়ের জন্য সিলেট থেকে উপবনযোগে একটি দলের সাথে ঢাকা যাচ্ছিলেন ফাহমিদা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারীর পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬২ জন। এদের মধ্যে ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে থাকা কুলাউড়া থানার এসআই সনক কান্তি বলেন, নিহতদের মধ্যে দুজন নারীর পরিচয় এখন পর্যন্ত সনাক্ত করেছেন তাদের স্বজনরা।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, রোববার রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১১টা ৪৮ মিনিটের সময় কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে বড় ছড়া ব্রিজের ওপর মারাত্মক দুর্ঘটনাকবলিত হয়। এতে সড়ক পথের পর রেলপথেও সিলেটের সাথে ঢাকাসহ সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।