পর্তুগালে বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী বনভোজন
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০১৯, ৯:২৮ পূর্বাহ্ণতানভীর মোজাম্মেল শোভন: আনন্দঘন পরিবেশে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ওয়ান ফ্যামিলি লিসবনের ঈদ পুনর্মিলনী বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বোচ্চসংখ্যক প্রবাসী পরিবারের অংশগ্রহণে বনভোজনটি পরিণত হয় বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়। গত শনিবার (১৫ জুন) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িযোগে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি বনভোজনে অংশগ্রহণ করেন। রং-বেরঙের পোশাকে অনুষ্ঠানে হাজির হন নারী, পুরুষ ও শিশুরা।
বনভোজনে সব বয়সীদের জন্য নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেয়া বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন পর্তুগালে প্রবীণ বাংলাদেশি মো. শোয়েব মিয়া।
অংশগ্রহণকারীরা তিনটি দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করেন। প্রথম গন্তব্য ছিল সান্তারেম শহরের পারায়া ফ্লুভিয়াল দ্য অর্তিগা। এখানে সবাই একসঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। পরে সেখানে বড় ও ছোটদের বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পাসাদিকো দ্য আলামাল এবং সবশেষে নাভাও নদীর তীরের গির্জার শহর তোমারে পৌঁছায় দর্শনার্থীরা। সবার অংশগ্রহণে গান, কৌতুক, ভালোবাসার গল্পে মুখর ছিল পুরো পথ।
অন্যান্য বনভোজনে প্রবাসীরা সাধারণত রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে নিয়ে যান। তবে এই বনভোজনটি ছিল একটু ব্যতিক্রম। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি পরিবার নিজেরা কিছু না কিছু রান্না করে নিয়ে আসে। পরে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে একসঙ্গে সবাই খাবার উপভোগ করেন। অনেকটা দেশের ঘরোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের মতো।
ঈদ পুনর্মিলনী এই বনভোজনের মূল সমন্বয়কারী ছিলেন, ওয়ায়েজ খান, ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, মো. লুটন।
পর্তুগালে বাংলাদেশি পরিবারগুলোর মধ্যে একটি সুন্দর বন্ধন তৈরি করতে এবং যেকোনো উৎসব ও বিশেষ দিনে প্রবাসে স্বজনদের অভাব ভুলে নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার উপলক্ষ্য তৈরি করতে এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। সবার ঐক্য থাকলে এমন আয়োজনগুলোর ধারাবাহিকতা থাকবে বলে মনে করেন তারা।
রান্না ও মেয়েদের ইভেন্টগুলোর পরিচালনায় ছিলেন শারমিন মৌ, যুথী, শারমিন আহমেদ, রাঁখি চন্দা রয়, ইতি, সোমা হোসাইন প্রমুখ।
আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নয়ন রয়, মোশাররফ হোসাইন, সাংবাদিক রনি মোহাম্মদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শিশির, শাহিন, জাফর সাদিক, সাইদুর রহমান, গোলাম রাব্বানী, জি এম আরিফ, শাওন ইসলাম, এনামুল হক, ইমরান শোয়াইব, হাসান চৌধুরী, শম্ভু নাথ সাহা, মেহেদী হাসান, ইসমাইল হোসেন, তারিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান প্রমুখ।
প্রবাসে সাধারণ সবসময় এমন আয়োজন দেখা যায় না। এমন পারিবারিক আয়োজনে শিশুরা যেমন উপলক্ষ্য খুঁজে পায়, তেমনি নতুন বন্ধু, খেলার সঙ্গী খুঁজে পায়। পরিবারগুলোর মধ্যেও তৈরি হয় সেতুবন্ধন। প্রবাসে স্বদেশের স্বজনের অভাব পূরণ করে স্বজনদের ছোঁয়া দেয় এই ধরনের বনভোজন। তাই প্রতিবছর আয়োজন করা হয় এই ধরনের অনুষ্ঠান।