মক্কা ঘোষণা চূড়ান্ত, জেরুজালেম সব সময় ফিলিস্তিনের

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০১৯, ৪:৩৫ অপরাহ্ণআন্তর্জাতিক ডেস্ক: অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ১৪তম সম্মেলনে ‘মক্কা ঘোষণা’ চূড়ান্ত হয়েছে।
মূল সম্মেলন শুরুর আগে ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বসে এই ঘোষণা চূড়ান্ত করেন।
সৌদি আরব মক্কার আল-সাফায় এবারের সম্মেলন আয়োজন করেছে। সম্মেলনের শিরোনাম, ‘মক্কা সামিট: টুগেদার ফর দ্য ফিউচার’।
মক্কা ঘোষণায় ফিলিস্তিন সঙ্কটকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ওআইসি মনে করে, জেরুজালেম সব সময় ফিলিস্তিনের অংশ। এটি ফিলিস্তিনেরই রাজধানী হবে। খবর: এএফপি ও আল আরাবিয়ার।
সংস্থাটি স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের অবস্থানও ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
মক্কা ঘোষণা বলা হয়, এই সম্মেলন ফিলিস্তিন প্রশ্নে সমস্ত মুসলিম উম্মাহর অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করছে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের মৌলিক, মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের আত্মনির্ভরতার অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন, যার রাজধানী জেরুজালেমের প্রতি সমর্তন জানাচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী রেজ্যুলেশন ১৯৪ অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়।
শনিবার ওআইসি এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্মেলনে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র ও গুয়াতেমালার দূতাবাস স্থানান্তরের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং এই নগরীতে দূতাবাস স্থাপনকারী দেশগুলোকে বয়কট করার জন্য ওআইসি’র সকল সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার মের শেষদিকে বাহরাইনের এক সম্মেলনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পরিকল্পনাটিকে ট্রাম্প ‘শতাব্দীর চুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে ফিলিস্তিনিরা এই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ট্রাম্পের সকল নীতি ইসরাইলের পক্ষে গেছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরাইলে রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
ফিলিস্তিন ইস্যু ছাড়াও সম্মেলনে ইসলামোফোবিয়া, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান ঘোষণা এবং বিশ্বের মুসলিমদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
পরে শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধন করে সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ তার বক্তব্যেও ওআইসি’র ওয়ার্কিং কমিটিতে ফিলিস্তিন ইস্যুকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে জেরুজালেম প্রশ্নে ঐতিহাসিক এবং আইনি যে অধিকার প্রতিষ্ঠিত, তা নস্যাতের যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করছি।’
সম্মেলনে প্রথম সেশনে সৌদি আরব, বাংলাদেশ, বাহরাইন, কুয়েত, জর্ডান, তুরস্ক, তিউনেশিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের সরকারপ্রধানরা বক্তব্য রাখেন।