চমক আসছে যুবলীগের নেতৃত্বে

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মে ২০১৯, ১২:৪৭ অপরাহ্ণঢাকা: প্রায় এক দশক পর আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে কাউন্সিল অধিবেশনে প্রস্তুতিসহ জেলা পর্যায়ে সম্মেলনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, যেহেতু এখন রমজান চলছে, রমজানের পরপরই জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মেলন সমাপ্ত করা হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে যেন কাউন্সিল হয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামত নেয়া হবে।
এর আগেও যুবলীগের পক্ষ থেকে দুই বার কাউন্সিল অধিবেশনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সে সময় কাউন্সিল করা হয়নি। যার ফলে যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে যুবলীগ পরিচালনা করছেন।
তবে এবার যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোন অবস্থাতেই যুবলীগের দায়িত্ব আর অব্যাহত রাখতে চান না। তিনি মূল ধারার রাজনীতি করতে চান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কাউন্সিল এবং নতুন নেতৃত্বের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগে।
যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসবে এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলাপ আলোচনা। যদিও এটা চুড়ান্ত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-
শেখ মারুফ- তিনি শেখ ফজলুল হক সেলিম এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেষ ফজলুল হক মনিরের ছোট ভাই। তিনি এখন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মির্জা আজম- যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আজমের নামও যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় আছে। যুবলীগের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি অনেক জনপ্রিয় থাকায় আলোচনায় আসছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে যুবলীগ ছেড়ে দিয়ে নতুন করে এই সংগঠনের চেয়ারম্যান হওয়ার তার তেমন আগ্রহ নেই বলে তিনি তার ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন।
এছাড়াও চমক হিসেবে নাম আসছে শেখ ফজলে নূর তাপসেরও। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে। তাকে চেয়ারম্যান বিবেচনা করতে গেলে আবেগই সবচেয়ে বড় কারণ বলে জানা গেছে। তবে তাপস যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে কতটা প্রস্তুত বা আগ্রহী সে প্রশ্ন রয়ে গেছে। ব্যস্ত আইনজীবি হিসেবে তিনি দলের কার্যক্রমেই সময় দিতে পারেন না। তারপরে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সংগঠিত অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার মতো তার প্রস্তৃতি রয়েছে কিনা সে প্রশ্নও থেকে যায়।
যাই হোক না কেন যুবলীগের সম্মেলন যে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে হচ্ছে এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই। নতুন নেতৃত্বে কারা আসবেন, সেটা সম্মেলনের দিন তারিখ শুরু হলেই বোঝা যাবে।