কৃষিজমি সুরক্ষায় নতুন আইন

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১:১৪ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম ডেস্ক।।।
গ্রামাঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সহজ শর্তে গৃহনির্মাণ ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রস্তাবিত কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন, ২০১৯ এর খসড়ায় এ ধরনের প্রণোদনার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত নিতে সম্প্রতি খসড়াটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গ্রামাঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে বাসাবাড়ি তৈরি করে কৃষিজমি নষ্ট করা হচ্ছে।
জায়গার মালিকানা নিশ্চিত করে কেউ যদি গ্রামাঞ্চলে বহুতল ভবন করতে চায় তবে সে ক্ষেত্রে সহজ শর্তে একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কৃষিজমি নষ্ট করে আবাসন, বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা, ইটের ভাটা বা অন্য কোনো স্থাপনা কোনোভাবেই নির্মাণ করা যাবে না। তবে অকৃষি জমিতে আবাসন, বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা প্রভৃতি স্থাপন করা যাবে। বাংলাদেশের কৃষিজমির ওপর শুধু কৃষক ও কৃষিজীবীর অধিকার থাকবে। এমন কি দেশের সব খাস কৃষিজমি কেবল ভূমিহীনরা পাওয়ার এবং ভোগদখল করার অধিকারী হবেন।
খাস কৃষিজমি কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি খাসজমি ভূমিহীন ছাড়া অন্য কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়া হলে তা বাতিল করা হবে। চিংড়ি, তামাক, ইউক্যালিপটাসে নিষেধাজ্ঞা : কৃষিজমি বাঁচাতে সরকার পরিবেশের জন্য ক্ষতি করে এ ধরনের সব কমকা বন্ধ করতে যাচ্ছে। কৃষিজমিতে চিংড়ি চাষেও নিষেধাজ্ঞা আসছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে তামাক চাষ ও ইউক্যালিপটাসজাতীয় বৃক্ষরোপণেও। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কৃষিজমি চিংড়ি মহাল হিসেবে ঘোষণা করা যাবে না এবং সরকার ঘোষিত নীতিমালা মোতাবেক চিংড়ি মহালের এলাকা অন্যান্য এলাকায় চিংড়ি চাষ করা যাবে না। এই অঞ্চলের আবহাওয়ার অনুকূল নয় এমন কোনো গাছ যেমন ইউক্যালিপটাস লাগানো যাবে না। পাশাপাশি কৃষি জমিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ফসলের (যেমন- তামাক) উৎপাদন করা যাবে না। আর ক্ষতিকর ফসল সময় সময় সরকার কর্তৃক গেজেট দ্বারা প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে খসড়া আইনে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন।