বোরখা পরে ছাদে ছিল শাহাদাতসহ চারজন, পাহারায় নূর উদ্দিনরা

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ৩:১৭ অপরাহ্ণঢাকা: সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় একটি মহল।
পরদিন আসামি নুর উদ্দিন, শাহদাতসহ ৫ জন কারাগারে সিরাজের সাথে দেখা করে। সেখান থেকেই মূলত নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়ার নির্দেশনা আসে বলে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, শাহাদাত হোসেন শামীম সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রলীগের সভাপতি। নুসরাত হত্যার প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নিজস্ব বলয়ের অন্যতম সদস্য তিনি।
শনিবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, আসামিদের ক্ষোভ ছিল অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে আলেম সমাজকে হেয় করেছে নুসরাত।
ডিআইজি আরো জানান, আসামিদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন শামীম দফায় দফায় নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু নুসরাত সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তার ভেতরেও একটা চাপা ক্ষোভ ছিল।
নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সময় ছাদে শাহাদাতসহ চারজন ছিল। তাদের মধ্যে একজন নারী। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই নারী ৩টা বোরখা ও কেরোসিন এনে শাহাদাতকে দেয়। সেই বোরখাগুলো পরে ঘটনার দিন আসামিরা সাইকোলজি ভবনের টয়লেটে লুকিয়েছিল।
শম্পা নামে আরেক নারী পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর আগে নুসরাতের ক্লাসে গিয়ে তাকে বলে সাইকোলজি ভবনের ছাদে নিশাতকে (নুসরাতের বান্ধবী) মারধর করছে। তখন নুসরাত দৌড়ে সেখানে গেলে আসামিরা তার গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় নুর উদ্দিনসহ ৫ জন নিচে পাহারায় ছিল। আলোচিত ওই ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।