মুহিত-নাহিদের নেতৃত্বেই আ’লীগের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম!
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্ত২৪.কম ডেস্ক।।।
অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য দলের জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। চলতি মাসেই তৃণমূল সফরে বের হচ্ছে তারা। এ উপলক্ষে রোববার আট বিভাগের জন্য ৮টি সাংগঠনিক টিমের খসড়া তৈরি করেছে দলের সম্পাদকমণ্ডলী।
শুক্রবার কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তা চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই মাঠে নেমে পড়বেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
তৃণমূলে সাংগঠনিক সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা করেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। এরপর দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনানুষ্ঠানিক কথা বলেছেন, কর্মকৌশল নির্ধারণে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সময় তিনি খুব তাড়াতাড়ি সাংগঠনিক সফরে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এমন তথ্য জানিয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি মাসেই তারা সাংগঠনিক সফরে বের হবেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, মে মাসে পবিত্র রমজান, এরপর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ও পবিত্র হজ। আর এর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে শেষ ধাপের উপজেলা নির্বাচন। তারপর শোকাবহ আগস্ট। রোজা ও আগস্টে পুরো দুই মাস আওয়ামী লীগ কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পালন করবে না। সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ অক্টোবরের আগে সব মিলিয়ে সময় পাওয়া যাবে মাত্র তিন মাস। তাই ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত করতে তাড়াতাড়ি সাংগঠনিক সফরে নামার কোনো বিকল্প নেই।
দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের পাঁচ নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অক্টোবরের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। কোনো কারণে অক্টোবরে সম্মেলন করতে না পারলে, সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে সর্বোচ্চ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেতে পারে।
নেতারা বলছেন, আগামী বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং এর পরের বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের প্রস্তুতি হিসেবে তাড়াতাড়ি দলের সম্মেলন অনুষ্ঠান করা ঐতিহাসিক ও সাংগঠনিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ সীমিত সময়ের মধ্যে সারা দেশে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা সম্মেলন করা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন দলের নেতারাও।
সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, যতটুকু পারা যায়, ততটুকু করব। বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু জেলায় সম্মেলন হতে পারে। অনেক জেলায় বর্ধিত সভা করে প্রেস রিলিজে কমিটি হতে পারে। একই বর্ধিত সভায় কাউন্সিলর তালিকাও হালনাগাদ হবে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমরা শিগগিরই তৃণমূল সফরে বের হব। আমাদের খসড়া টিম হয়ে গেছে। শুক্রবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সফরের বিভিন্ন দিক চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই সব টিম যার যার কাজে নেমে পড়বে।
সীমিত সময় ও বৃহৎ কর্মযজ্ঞের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের তৃণমূল সফরের প্রস্তুতি রয়েছে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী যেভাবে গাইডলাইন দেবেন, যে সময় দেবেন আমরা সেভাবেই কাজ গুছিয়ে আনব। সফরের প্রস্তুতির প্রাথমিক কিছু কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কার্যনির্বাহী বৈঠকে এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো চ‚ড়ান্ত হওয়ার পর; শিগগিরই আমরা তৃণমূল সফরে যাব।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম :
দেশের আট বিভাগে সাংগঠনিক সফরের জন্য ৮টি মূল টিম গঠন করা হয়েছে। এগুলো খসড়া আকারে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে প্রস্তুত করা হয়েছে। দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা এসব টিমের সমন্বয় করবেন। এর বাইরে ঢাকা মহানগর উত্তরে সম্মেলন প্রস্তুতিতে কাজ করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, দক্ষিণে কাজ করবেন ড. আবদুর রাজ্জাক। আর এর মধ্যে দলের অসুস্থ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এলে শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক কাজের তদারকি করবেন। তার অবর্তমানে কাজ চালিয়ে যাবেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
চূড়ান্ত হয়ে গেলে এই ৮টি টিম সম্মেলনের আগ পর্যন্ত দলের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফরে যাবে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সাংগঠনিক সভাগুলোতে যোগ দেবে। ৪-৫ বছর মেয়াদ হয়ে গেছে এমন জেলা-উপজেলা ইউনিটের সম্মেলন হবে। অন্যত্র বর্ধিত সভা হবে। এসব সভায় দলের জাতীয় সম্মেলনের জন্য কাউন্সিলর তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এর পাশাপাশি এসব সভায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য তৃণমূলে কমিটি গঠন এবং এ উৎসব আয়োজনের কর্মপরিকল্পনা তৃণমূলকে অবহিত করা হবে।
সূত্র অনুযায়ী, খসড়া টিমে সিলেট বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ও অধ্যাপক রফিকুর রহমান। এ বিভাগে উপদেষ্টা পরিষদের আরও দুয়েকজন নেতা যুক্ত হবেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, আবদুল মতিন খসরু, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ড. হাছান মাহমুদ, একেএম এনামুল হক শামীম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া. দীপংকর তালুকদার, র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, হারুনুর রশীদ ও অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
ঢাকা বিভাগে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মোজাফফর হোসেন পল্টু, কাজী জাফর উল্লাহ, মুকুল বোস, সাহারা খাতুন, আবদুল মান্নান খান, ডা. দীপু মনি, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, নুরুল মজিদ হুমায়ুন, আখতারুজ্জামান, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মৃণাল কান্তি দাস, কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, সিমিন হোসেন রিমি ও এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।
বরিশাল বিভাগে তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ড. শাম্মী আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম।
খুলনা বিভাগে পীষুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, আবদুর রহমান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এসএম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা।
রাজশাহী বিভাগে মোহাম্মদ নাসিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নুরুল ইসলাম ঠাকুর ও মেরিনা জাহান।
রংপুর বিভাগে রমেশ চন্দ্র সেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল হক, টিপু মুন্সী ও এইচএন আশিকুর রহমান।
ময়মনসিংহ বিভাগে আমির হোসেন আমু, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, ডা. দীপু মনি, মো. মিজবাহউদ্দিন সিরাজ, অসীম কুমার উকিল, মো. আবদুছ ছাত্তার ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।
শ্যামল সিলেট।