ফেল থেকে পাস সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থী
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০১৯, ১১:২৯ অপরাহ্ণপ্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ীর ফল পুনর্নিরীক্ষণে ২১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে সাড়ে আট হাজার, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পিইসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর একমাস জুড়ে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পিইসি ও সমাপনী পর্যায়ের ৯৪ হাজার শিক্ষার্থী প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনরায় ফল মূল্যায়নে আবেদন করে। এসব আবেদনের মধ্যে ৮৮ সমাপনী ও ছয় হাজার ইবেতেদায়ী শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ প্রাপ্ত ফল বাড়ানো, কেউ ফেল থেকে পাস করার জন্য আবদেন করে বলে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়। আগে থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর এ আবেদন করত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। চলতি বছর টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এ আবেদনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে খাতা পুনর্নিরীক্ষণ আগের মতোই জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে করা হয়েছে। তারা শুধুমাত্র উত্তরপত্রের নম্বর যোগে ভুল হয়েছে কি না তা মূল্যায়ণ করেন।
কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ ফলে সমাপনী ও ইবতেদায়ীর ২১ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান বিষয়ে ফল পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তিত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ডিপিইর মহাপরিচালবক।
জানা গেছে, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পিইসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় তিন লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী। তার মধ্যে ছেলেদের মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজার ৪১১ জন ও মেয়েরা দুই লাখ ছয় হাজার ৭৮২ জন। এ পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৫ লাখ আট হাজার ৯০৪ জন পাস করে। তার মধ্যে ১২ লাখ ১১ হাজার ৬০০ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৪১ হাজার ২৯৬ জন ছাত্রী। প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ীতে ছেলেদের পাসের হার ৯৭ শতাংশ ৪৮ শতাংশ, আর মেয়েদের পাসের হার ৯৭ শতাংশ ৬৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ১২ হাজার ২৬৪ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৭৪ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে পাস করে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৭ জন। পাস করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৮ জন ছাত্র ও এক লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জন ছাত্রী। গত ২২ নভেম্বর শুরু হয় পিইসি ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা। শেষ হয় ৩০ নভেম্বর।