ফেসবুক-ইউটিউবে বিজ্ঞাপনে ১৫% ভ্যাট নেবে সরকার

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০১৯, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম ডেস্ক।।।
ফেসবুক-ইউটিউবে বাংলাদেশ থেকে যেসব বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তা থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নেবে সরকার। সম্প্রতি হাইকোর্টের এক আদেশে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের লেনদেন থেকে সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখার বাইরে ভার্চুয়াল জগতে বিজ্ঞাপন থেকে এতদিন ধরে সরকার কোনো শুল্ক আদায় করছিল না। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই ভ্যাট আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠি দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের ওই চিঠি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে সোমবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই চিঠিতে ফেইসবুক ও ইউটিউবের মতো ইন্টারনেট যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা যে মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেন, তা থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কেটে সরকারি কোষাগারে জমা করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।
গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে পাঠানো এনবিআরের চিঠির শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমার বাহির হতে সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীণ নিকট থেকে মূসক আদায় নিশ্চিতকরণ’।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩ এর উপধারা (৩) এর দফা (ঘ) অনুযায়ী বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার বাইরে থেকে সেবা (যেমন- রয়্যালটি, বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস, ফেইসবুক, ইউটিউব ও এ সকল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার ইত্যাদি) সরবরাহের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীর কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট (মূসক) আদায়যোগ্য। এসব সেবার বিপরীতে পণ্যমূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো কোনো ব্যাংক এ খাত থেকে মূসক আদায় করছে না বলে এনবিআরকে অবহিত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, এ অবস্থায় মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড বা টিটি ব্যবহত হলেও অথবা যেকোনো মাধ্যমে পেমেন্ট হোক না কেন, ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কর্তনপূর্বক সরাসরি ট্রেজারিতে জমা করা অতীব জরুরি। তাই সকল ব্যাংককে এ খাত হতে যথাযথ রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় অনুশাসন প্রদানের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
এনবিআরের সেই অনুরোধেই এখন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ফেসবুক-ইউটিউবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিজ্ঞাপনের অর্থের বেশিরভাগই অবৈধ পথে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ফলে এখাত থেকে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।