দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ৩:৫৭ অপরাহ্ণযক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সুনামগঞ্জে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ কমিটির (নাটাব) আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাটাবের সভাপতি ও শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু।
জেলা নাটাবের সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্যের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মনোওয়ার আলী, স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সিভিল সার্জন প্রতিনিধি মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও নাটাব প্রতিনিধি সুমন চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন। যার মধ্যে শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে এক্সডিআর-টিবির সংখ্যা ১২ জন। এছাড়া সব ধরনের যক্ষ্মা রোগীর রোগ শনাক্তকরণের হার ৬৭%।
সভায় আরও জানানো হয়, লাখ প্রতি বছরে নতুন যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন। বছরে যক্ষ্মা রোগের কারণে মৃত্যু হয় প্রতি লাখে ৪০ জনের। বর্তমানে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ৩০০ জন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে নাটাব। আগে একটি প্রচলিত কথা ছিলো যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই। কিন্তু বর্তমানে এই কথার ভিত্তি নাই। যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক কমেছে। যক্ষ্মা রোগ হলে প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসার। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যাক্তি যদি সঠিক চিকিৎসা না করায় তাহলে মৃত্যু নিশ্চিত।
বক্তারা আরও বলেন, যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে করাচ্ছে সরকার। এমনকি কোনো ব্যক্তি যদি যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা করাতে না পারেন তাহলে ব্র্যাকের মাধ্যমে সহজেই করা যায়। যক্ষ্মা রোগীর জন্য সব ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার। প্রত্যেক রোগীকে বাসায় বাসায় গিয়ে ওষুধ খাওয়ানোরও ব্যবস্থা রয়েছে।
আমরা দেখেছি অনেক রোগী কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর আর খেতে চান না। তাদেরকে আমাদের বুঝাতে হবে যক্ষ্মা রোগের গুরুত্ব সম্পর্কে। সবাইকে এক হয়ে যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।