লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চায়ের উৎপাদন

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
এবারের মৌসুমে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বিগত মৌসুমের চেয়ে এবার ৩২ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদিত হয়েছে। প্রতিকূলতা কাটিয়ে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চা উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে দেশের ১৬৬টি বাগানে চা উৎপাদন হয়েছে আট কোটি ২১ লাখ কেজি। আগের বছর ২০১৭ সালে উৎপাদন হয়েছিল সাত কোটি ৮৯ লাখ কেজি। ২০১৬ সালের মোট উৎপাদন ছিল আট কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার কেজি।
তখন বছরজুড়ে চা চাষের অনুকুল প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় ছিল। গত তিন বছর চায়ের গড় উৎপাদন ছিল আট কোটি ২০ লাখ কেজি।
মৌসুমের শুরুতে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ- ২০১৮) অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে বেশ শঙ্কিত ছিলেন বাগান মালিকরা। উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় চা-পাতা চয়ন সময়মতো শুরু করা যায়নি। ২০১৮ সালে দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় সাত কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার কেজি।
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে সব মিলিয়ে ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়। তবে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে চা চাষের উপযোগী সুষম বৃষ্টি হওয়ায় বছর শেষে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৯ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদন হয়।
শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে চা শিল্পের উন্নয়নে নেওয়া কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চা চাষের আওতা বাড়ানো হয়।
চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) বিভিন্ন উপকেন্দ্রে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষিদের জন্য ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ, প্লাকিং, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন বিষয়ে এবং দেশের টি প্লান্টারদের দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রথাগত পন্থা থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন চা বাগানে। ফলে কাটিয়ে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে।’
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, চায়ের আবাদ বাড়াতে বিটিআরআই থেকে সবরকম সহযোগীতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, চা শিল্পে অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, অনুকুল আবহাওয়া এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিকদের আন্তরিকতায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।