সিলেট বিভাগে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৩ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
প্রথম ধাপে ৮৬টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে মোট ১০৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ২৮৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪৮৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৮৬ জন আওয়ামী লীগের মনোনীত। তবে এই পদে প্রায় সব স্থানেই কমপক্ষে দু’জন করে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। এছাড়া জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল থেকেও প্রার্থী হয়েছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কোনো কোনো উপজেলায় তাদের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার দেশের চার বিভাগে ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। শান্তিপূর্ণভাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন প্রার্থীরা।
এদিকে প্রার্থী না থাকায় চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন- জামালপুরের সরিষাবাড়িতে গিয়াসউদ্দিন পাঠান, মেলান্দহে ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, মাদারগঞ্জে ওবায়দুর রহমান বেলাল ও জয়পুরহাট সদরে এসএম সোলায়মান আলী।
দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশ নেয়নি। জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা জানিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে তা উন্মুক্ত রেখেছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। উচ্চ আদালতের রায়ে সোমবার রাজশাহীর পবা উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে প্রথম ধাপে ৮৬টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এসব উপজেলায় আজ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে।
এরপর দিন ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার। আগামী ১০ মার্চ এ ৮৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তারা জানান, মার্চ মাসে চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্যন্ত দুটি ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতিটি এলাকায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে ইসি।
সোমবার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি প্রতিপালনে তদারকি করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।
আরও জানা গেছে, এবারই প্রথম ধাপে ধাপে দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালে ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সময়ে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু এবার দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায়। এখানে সর্বোচ্চ ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজের উপজেলায় ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা নিয়ে রাজশাহী-১ সংসদীয় আসন। এ আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। এ দুই উপজেলাতেই এমপির ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- গোদাগাড়ীতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবং তানোরেও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফল হায়দার রশিদ ময়না। দলের মনোনয়নের বাইরে বিদ্রোহী হিসেবে এ আসনে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বদি।
বদি বলেন, আমি দীর্ঘ সময় থেকে দল করছি। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। তাদের দাবি, আমি নির্বাচন করি। এ কারণেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তাছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলার সব এলাকাতেই আমার সমর্থক রয়েছে। বিশ্বাস করি, আমি বিজয়ী হব।
সিলেট বিভাগ
হবিগঞ্জ : জেলার ৮ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভিন্ন উপজেলায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন। সব উপজেলায়ই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নিলেও কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক (স্বতন্ত্র), আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম (বিদ্রোহী)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহবুবুর রহমান আওয়াল, অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ ফারুক, প্রফেসর আবিদুর রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফৌরদৌসি আরা বেগম ও নূরুন্নাহার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
লাখাই : চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিউল আলম আজাদ (আওয়ামী লীগ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাহফুজুল আলম মাহফুজ ও রফিক আহমেদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুর্শেদ কামাল চৌধুরী, আমিরুল ইসলাম আলম, আশরাফুল ইসলাম শের আলম মনোনয়ন দাখিল করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফয়েজুন্নেছা আক্তার, আলেয়া বেগম, আয়েশা সিদ্দীকা মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
চুনারুঘাট : চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদির লস্কর (আওয়ামী লীগ), বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের (বিদ্রোহী), উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান (স্বতন্ত্র), খেলাফত মজলিশ নেতা প্রভাষক আবদুল করিম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান মহলদার (স্বতন্ত্র), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি জামাল হোসেন লিটন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবিদা খাতুন, বিএনপি সমর্থক কাজী সাফিয়া খাতুন।
বাহুবল : চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই (আওয়ামী লীগ), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবদুল কাদির চৌধুরী (বিদ্রোহী), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লন্ডনপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরুজ্জামান (বিদ্রোহী), সৈয়দ খলিলুর রহমান (স্বতন্ত্র)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ আহ্বায়ক তারা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ কুটি, আওয়ামী লীগ সমর্থক শশাংক দত্ত, শফিকুল ইসলাম, নিহার রঞ্জন দেব, খন্দকার ইদ্রিছ, ইয়াকুত মিয়া এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ফারুকুর রশিদ ফারুক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি সমর্থক বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা খানম, আওয়ামী লীগ সমর্থক জ্যোৎস্না আক্তার, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন।
নবীগঞ্জ : চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, বিএনপি সমর্থক আবদুল হাই চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাদী গাজীর স্ত্রী গাজী খালেদা সারোয়ার, জাপা নেতা হায়দর মিয়া। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মুকিত, পৌর জাপা সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমদ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেত্রী সইফা রহমান কাকলী ও দিলারা হোসেন, নাজমা আক্তার (স্বতন্ত্র)।
আজমিরীগঞ্জ : চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মর্তুজা হাসান (আওয়ামী লীগ), আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন (বিদ্রোহী), উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক খালেদুর রশিদ ঝলক (স্বতন্ত্র) ও মিয়া হোসেন (স্বতন্ত্র)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক মনিরুজ্জামান মনু, অসীম চৌধুরী সাগর, হিরেন্দ্র পুরকায়স্থ, নাজমুল হাসান, আবদুল জলিল, মমিনুর রহমান সজীব, স্বতন্ত্র রথীন্দ্র দাশ, জামায়াত সমর্থক আবদুল হাই। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুখসানা আক্তার শিখা, আওয়ামী লীগ নেত্রী সুজলা আক্তার, স্বতন্ত্র মাহমুদা আক্তার ও আলেমা খাতুন।
বানিয়াচং : চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আবুল কাশেম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), ইকবাল হোসেন খান (বিদ্রোহী) ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন (স্বতন্ত্র)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্মৃতি চ্যাটার্জি কাজল, আশরাফ বাবু, ইকবাল বাহার খান, আবিদুর রহমান ও ফারুক আমিন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানিয়া খানম (স্বতন্ত্র), বিউটি আক্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসিনা আক্তার ও ফেরদৌসী বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মাধবপুর : চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক (আওয়ামী লীগ), আওয়ামী লীগ নেতা এহতেশামুল বার চৌধুরী লিপু (বিদ্রোহী), জেলা বিএনপির সহসভাপতি এসএসএএম শাহজাহান (স্বতন্ত্র)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিব উদ্দিন তালুকদার, সৃধাম দাশগুপ্ত, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল আজিজ (স্বতন্ত্র), বাবুল হোসেন খান (স্বতন্ত্র)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা পাঠান (স্বতন্ত্র), মরিয়ম রহমান বাবুনী (স্বতন্ত্র), অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার হেলেন, মোছা. রোকেয়া আক্তার ও জাহানারা বেগম মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ : জেলার ১০ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি প্রার্থীসহ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১টি উপজেলা ছাড়া অপর ৯টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৪ জন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ মোট চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের খায়রুল হুদা চপল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ বখত নজরুল ও যুবলীগের সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট মনীষ কান্তি দে মিন্টু। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন।
বিশ্বম্ভরপুর : উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদার, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হারনুর রশিদ, জেলা যুবলীগের সদস্য ছফির উদ্দিন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন ইমন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩ জন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ : আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম, বিএনপির ফারুক আহমদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আনছার উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল আলম নিক্কু, যুবলীগের অ্যাডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন।
দোয়ারাবাজার : আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুর রহিম, ফরিদ আহমদ তারেক (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু (বিদ্রোহী), দেওয়ান আবুল হোসেন মাহমুদ রাজা চৌধুরী, বিএনপি নেতা শাহজাহান মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা রেনু মিয়া। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন।
ছাতক : চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩ জন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ফজলুর রহমান, অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), আওলাদ আলী রেজা (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী)। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন।
জামালগঞ্জ : আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদ, রেজাউল করিম শামীম (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী), স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মু. আবদুর রশিদ। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ জন।
তাহিরপুর : চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে ৩ জনসহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন। তারা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক. বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দিরাই : আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রদীপ রায়, আলতাব উদ্দিন (বিদ্রোহী), মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী (বিদ্রোহী) ও সভাপতি রঞ্জন রায় (বিদ্রোহী)। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩ জন।
শাল্লা : আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ধর্মপাশা উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদ, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন রোখন। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।