খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিষটি উদ্ধার করেন। পরে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মহিষটি পরীক্ষা করে বীষযুক্ত হয়ে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত্র হওয়ায় তাকে জবাই করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।

জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চোরাই গরু মহিষ ব্যবসায়ী চক্র রাতের আধারে স্থানীয় বাংলাটিলার হুনামিয়ার পুত্র জামাল উদ্দিনের সহযোগীতায় বুধবার গভীর রাতে ২৫/৩০টি গরু ও মহিষ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাটিলায় নিয়ে আসে। এসময় একটি মহিষ রাতের অন্ধকারে ছুটে গিয়ে টিলায় আটকে পড়ে। সকালে বাংলাটিলা গ্রামের জামাল মহিষটি খুঁজে বের করে সড়কের বাজার নিয়ে যাওয়ার সময় মহিষটি পাগল হয়ে স্থানীয় মহিলা শিশু সহ ৬ জন পথচারীকে হামলা করে গুরুতর আহত করে।

আহতরা হলেন-কোনাপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র বাবুল আহমদ (৩০), ডাউকেরগুল গ্রামের ফুলমিয়ার পুত্র শামিম আহমদ (২৫), কান্দলা গ্রামের মিস্টারের পুত্র আব্দুল জব্বার (৪৫), ডাউকেরগুল গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র সাহাব উদ্দিন (২৫), বাংলাটিলা গ্রামের আমির আলীর পুত্র জাকারিয়া (৩০), বাংলাটিলা গ্রামের গফুর মিয়ার স্ত্রী সুহানা বেগম (২৫), একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে তানহা বেগম (১০)।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি চোরাকারবারী চক্র ভারতীয় গরু মহিষকে বিষাক্ত মদ পান করিয়ে পাগল করে সীমান্তের এপার থেকে অপারে মহিষকে পাগল অবস্থায় পাহাড় টিলা বেয়ে সমতলে নিয়ে আসে। এতে গরু মহিষ গুলো যাতে দ্রুত নিয়ে আসতে পারে সেই জন্য মদ পান করানো হয়। বুধবারের এ গরু মহিষ গুলোর মুল মালিক ছিলেন সড়কের বাজার এলাকার দিঘীরপার গ্রামের কামাল উদ্দিন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এদিকে কানাইঘাট উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ভারতীয় একটি মহিষ স্থানীয় চোরাকারবারীদের সহযোগীতায় দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ৬/৭জন লোককে আহত করার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিষটি পরীক্ষা নীরিক্ষার পর ধরা পড়েছে মহিষটি বিষযুক্ত কিছু খেয়ে অথবা কুকুরে কামড়ানোর কারণে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পাগল হয়ে গেছে। তাই আমরা স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগীতায় মহিষটি জবাই করে মাটির নিচে পুঁতে রাখিয়াছি।