গোলাপগঞ্জে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ।। দেবর আটক

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ৪:২৮ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শেরপুর এলাকায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত গূহবধূ রুহেনা আক্তার (২৭) শেরপুর গ্রামের আজাদ আহমদের স্ত্রী। সে ২ সন্তানের জননী।
শুক্রবার ভোরে সিলেটের একটি বেসকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সে মারা যায়। ঘটনা দামাচামা দিতে শশুর পক্ষের লোকজন তার লাশ দিয়ে দ্রুত দাফনের চেষ্ট করে তবে নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেবর ফখরুল ইসলামকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফয়ছল আহমদ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নিহত মহিলার ভাই ফয়ছল আহমদের অভিযোগ, নিহত রুহেনার দেবর ফখরুল ইসলাম, আনকার আহমদ এবং ভাসুরের ছেলে আজিজুর রহমান আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারী পিটিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে।
শশুরবাড়িতে ফোন দিয়ে জানানো হয় যে তার মানসিক সমস্যার কারনে (জ¦ীন ধরেছে) তারা অতিষ্ট তাকে আমাদেও বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ঐ দিন তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন তার পা ভাঙ্গা ও মলীলের বিভিন্ন স্থানে জখম রেয়েছে বলেন জানান চিকিৎসকরা।
তবে সেখানে চিকিৎসার পর অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় গত বুধবার সিলেটের ইবনেসিনা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় আজ (শুক্রবার) সকালে সে মারা যান।
এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগীতায় হাসপাতাল থেকে লাশ এনে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। তবে নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ শশুর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে।
অভিযুক্ত ফখরুল ইসলাম আটকের আগে এ প্রতিবেদককে জানান, নিহত রুহেণা মানসিক রোগী। কয়েকদিন থেকে তার জ¦ালাতনে আমরা অতিষ্ঠ। তার মৃত্যু স্বাভাবিক বলে জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে পরে গিয়ে আহত হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক শিবলী বলেন, লাশ ময়না তদেন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পখরুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।