বিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থী আবুল কাশেম পল্লব। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এরআগে পল্লব উপজেলা পরিষদে একবার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও পরবর্তী উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
এ নির্বাচনে জয়-পরাজয় শতভাগ নিশ্চিত না হলেও জয়ের কাছাকাছি আবুল কাশেম পল্লব রয়েছেন বলে জনশ্রæতি রয়েছে। কিন্তু ভোটের আগের রাত অর্থাৎ কালো রাতে ‘কাচা টাকা’ কিংবা কৌশলের কাছে পল্লব পরাস্ত না হলে বিজয় তাঁর মোটামুটি হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বি অপর প্রার্থীদের চেয়ে তিনি এগিয়ে থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে আবুল কাশেম পল্লবের সাথে আওয়ামী লীগের মধ্যমসারির অনেক নেতা প্রকাশ্যে কাজ করছেন। এমনকি উপজেলা আ’লীগের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা লোক দেখানো নৌকার পক্ষে হলেও রাতে তাঁরা হেলিকপ্টার উড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তাছাড়া একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান পল্লবের বিজয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। যদিও পল্লব গ্রুপের কর্মীরা নির্বাচনে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন। একেক কর্মী নিজেকে প্রার্থী ভেবে প্রতিনিয়ত হেলিকপ্টারের প্রচারণায় ‘এ দুয়ার’ থেকে ‘ও দুয়ারে’ ভোটারদের কাছে গিয়েছেন। যা সত্যিই হেলিকপ্টারের সুরের মুর্চনায় ভোটারদের জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছে।
দক্ষিণের আঞ্চলিক ভোটেও হেলিকপ্টারের সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি হয়েছে। মুড়িয়া, মোল্লাপুর ও লাউতা ইউনিয়নে হেলিকপ্টার বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া তিলপাড়া, কুড়ারবাজার, দুবাগ, আলীনগর ও চারখাই ইউনিয়নে অপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চেয়ে তিনি কম ভোটে এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
শেওলা ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আবুল কাশেম পল্লব আশানুরূপ ভোট পাওয়ার আবহ দেখা যাচ্ছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমেদ মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে যেভাবে প্রচারণা করছেন তাতে কিছুটা হলেও হেলিকপ্টারের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত উপজেলা নির্বাচনে পল্লবের সুর ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোট পেলেও তিনি জয়ী হতে পারেননি।
এবার কিন্তু সকল ‘না’ বোধক প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে হেলিকপ্টার প্রতীকের নির্বাচনকালীন দায়িত্বশীলদের একজন লাউতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. গৌছ উদ্দিন বলেন, আবুল কাশেম পল্লবকে সাধারণ মানুষ অন্তর থেকে সাদরে গ্রহণ করেছে। এজন্য দিনদিন হেলিকপ্টারের প্রচারণায় জনশ্রুতি বেড়েই চলছে। ভোটের পাল্লা ভারি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিয়ানীবাজারে তুলনামূলক বেশি সচেতন মানুষের বসবাস। এজন্য এখানে কাচা টাকা দিয়ে কেউ ভোটারের বিবেক কিনতে পারবে না। এ কাজটি যে করতে যাবে, বরং তার ভোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গৌছ উদ্দিন বলেন, বিয়ানীবাজারের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিতে চাচ্ছে। এজন্য তাঁরা নতুন মোড়কে পুরনো অভিশপ্ত পরিবারের কাউকে অবশ্যই চাইবে না। যদি না চায়, তাহলে আবুল কাশেম পল্লবের বিজয় কোন ষড়যন্ত্র আটকাতে পারবে না। তিনি ভোটারদের ১৮ মার্চ সকাল-বিকাল নির্বিঘ্নে হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম পল্লব বলেন, একযুগ আগেই মানুষের কল্যাণে আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি। প্রতিনিয়ত আমি সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছি। এজন্য দলমত নির্বিশেষে আপামর মানুষ আমার প্রতি সহানুভ‚তিশীল। আমার বিশ্বাস, এবার মানুষ সত্যিকার পরিবর্তন চায় এবং আমাকে তাঁরা বেছে নিয়ে হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিবে।
তিনি বলেন, বিজয়ী হলে প্রথমে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের লেখায় পরিবর্তন আসবে। প্রশাসনের স্থলে অবশ্যই পরিষদ লিখবো। এক্ষেত্রে যতই বাঁধা আসবে জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবো।
আবুল কাশেম পল্লব ভোটারদের চোখ-কান খোলা রেখে ‘কাচা টাকা’র কাছে বিবেক বিক্রি না করার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকের কর্মীবাহিনীকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
