১৫ মার্চ শপথ নেবো: সুলতান মনসুর, বহিস্কার কেয়ার করি না

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৭ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
আগামী ১৫ মার্চ শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। অপরদিকে, সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই শপথ নেবেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে ও মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।
এই দু’জন শপথের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেও একাদশ সংসদে নির্বাচনে নিজেদের নির্বাচিত ৮ সংসদ সদস্য কেউ শপথ গ্রহণ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। এ অবস্থায় জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ গ্রহণ করলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করার চিন্তা রয়েছে গণফোরামের।
বুধবার রাতে সুলতান মনসুর বলেন, ‘আমি মার্চের ১৫ তারিখের মধ্যে শপথ গ্রহণ করবো। শত প্রতিকূলতার মধ্যে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদের ভোটের সেই মর্যাদা দিতে আমি শপথ গ্রহণ করবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান মনসুর বলেন, ‘আমি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছি। কিন্তু নির্বাচন করতে হলে নিবন্ধিত দলের সদস্য হতো হয়, তাই আমি গণফোরামের সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। এখন তারা যদি আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করে, সেটিকে আমি কেয়ার করি না। তাদের যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, নিতে পারে।’
অন্যদিকে মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমি দলীয় (গণফোরামর) সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে শপথ নেবো। আমি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেই শপথ নিতে যাচ্ছি। তিনি শপথের বিষয়ে ইতিবাচক।’
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা আছে— ‘কোনও নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনও ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনও নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।’
এই দুই সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘আমরা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) এখন শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বহাল আছি।
এখন কেউ সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ গ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যদি বহিষ্কারের নিয়ম হয়, তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।’ -সূত্র: বাংলাট্রিবিউন