তিন প্রেমিককে হত্যাকারী সেই জাপানি নারীর ফাঁসি বহাল
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০১৯, ২:৩৬ অপরাহ্ণআন্তর্জাতিক ডেস্ক: বয়স ৭২। তবে বেছে বেছে ধনী ব্যক্তিদের প্রেমের জালে জড়াতেন তিনি। যাদের প্রেমের জালে জড়াতেন তাদের বয়সও হতো তার বয়সের আশপাশেই। এরপর তাদের হত্যা করে বীমার অর্থ ও সম্পদ হাতিয়ে নিতেন। এই নারীর নাম চিসাকো কাকেহি।
তিন প্রেমিককে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সালে জাপানের এই নারীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। শুক্রবার শুনানিতে ওই আদেশই বহাল রেখেছে জাপানের একটি আদালত। কাকেহির গল্প জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর জাপানি গণমাধ্যমে তাকে ‘ব্ল্যাক উইডো’ নামে অভিহিত করা হয়। মাকড়াশা একটি বিষাক্ত প্রজাতির নাম ব্ল্যাক উইডো। সঙ্গমের পর নিজের সঙ্গীকে হত্যা করে এই মাকড়শা।
চিসাকো কাকেহির ঘটনাটি জাপানে ব্যাপক আলোচিত। তিনি যাদের হত্যা করেছেন তার মধ্যে একজনকে তিনি বিয়েও করেছিলেন। আরেকজন ভাগ্যজোরে বেঁচে যান। ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। তবে আদালত আজ ওই আবেদন খারিজ করে দিলেন।
কাকেহি ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত। তবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার সময় সে বিষয়টি আমলে নিয়েছিলেন না আদালত। বরং বলা হয়েছিল, খুনের পরিকল্পনা করেই কাকেহি তাদের সাইনাইড পান করান। ১৩৫ দিন ধরে কাকেহির মামলার বিচারকাজ চলে। এই বিচারকাজ দেখতে কোর্টরুমের ৫২টি সিটের জন্য লাইনে দাঁড়ান ৫৬০ জন।
কথিত আছে, ১০ বছরে এই নারী ১শ কোটি ইয়েন হাতে পান। তবে এর বেশিরভাগই শেষ পর্যন্ত তিনি রাখতে পারেননি। বহু পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়ান কাকেহি; যাদের বেশিরভাগই বয়স্ক ও অসুস্থ। এদের অনেকের সাথেই তার পরিচয় ডেটিং এজেন্সির মাধ্যমে। সেখানে তিনি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন তার সম্ভাব্য সঙ্গীকে অবশ্যই ধনী ও সন্তানহীন হতে হবে।
বিচার শুরুর প্রথমদিকে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ একদিন তিনি একজনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি অন্য নারীদের টাকা দিতেন।
হাসতে হাসতে ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি বলেও মন্তব্য করেছিলেন কাকেহি। জাপানি সংবাদমাধ্যম জিজিকে গতমাসে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর ভিতর দিয়েই আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন। -এএফপি