বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে ‘নারীর অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ: শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন: নারী নেতৃত্ব হারাম, পাশে বসলে আরাম। এটি হচ্ছে জামাতের একটি চেহারা। তাদের আরেকটি চেহারা আমরা ২০১৪ তে দেখেছি, ২০১৫ তে দেখেছি অগ্নি সন্ত্রাস। শবেবরাতের রাতে বাসে করে বাবা মা মেয়ে ফিরছে তাদেরে পেট্রোল বোমা মেরে, মেরে ফেলা এর নাম ইসলাম, এর নাম বিএনপির ধর্ম নিয়ে রাজনীতি। জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত নয় নস্যাৎ করতে চায়। যেমন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় করেছিলো।
যোগ করেন: ২০০১ এর সরকার গঠন করার পর জামায়াত বেছে বেছে যে জায়গাটা নিলো, তার অন্যতম হলো কৃষি। এই কৃষিতে আমরা প্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলাম, সেই কৃষি বেছে নিলো। সমাজকল্যাণ বেছে নিলো। কতগুলো জায়গা স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট জামায়াত বেছে নিলো। শিল্ল মন্ত্রণালয় বেছে নিলো। এই তিনটা জায়গা। শ্রমিককে নষ্ট করো। সমাজকল্যাণের নামে বিভিন্ন জায়গায় শাখা-প্রশাখা তৈরি করো। কৃষি সেক্টরে গিয়ে কৃষিকে পঙ্গু করে দাও। সেই দিন তারা বেগম জিয়ার সাথে গাটছাড়া বেধে এই সুবিধা তারা আদায় করেছে।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন: এই সমস্ত মোনাফেক, নারী নেতৃত্ব হারাম বলে। আর যখন সিপনের সেই জর্জেট বা ইত্যাদি চুল খোলানো, গায়ে সুন্দর কুশন পরে তাদের পাশে বসে তখন আরাম আর আরাম, এই সমস্ত মোনাফেকের। আমাদের সমাজের বিভিন্ন পর্যয়ে জামায়াত-বিএনপি নষ্ট করে গেছে। সেখানে থেকে শেখ হাসিনাকে টেনে তুলতে হচ্ছে। সুতরাং আমাদেরকে এই কথাগুলোকে মাথায় রাখতে হবে। আমরা যদি তাদের মতই হবো, তাহলে শেখ হাসিনা আমাদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো না। এই কথাটা মাথায় রেখেই আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর কণ্যাকে সত্যিকারে সাহায্য করতে পারবো।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন: আজকের দিনে শেখ হাসিনার সাফল্যের পাশাপাশি, এই যে সমাজের যত অন্ধত্ব এবং যেটাকে পূঁজি করে এরা এগিয়ে গেল, এর বিরুদ্ধে আমাদের জনগণকে বিশেষ করে নারী সমাজকে সচেতন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি ড. সুলতানা সফির সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।