এ সময় কোটা সংরক্ষণ আন্দোলনে যুক্ত ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ডাকসু ভিপি নুর এ সময় ছাত্রসংগঠনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা দেন।
তিনি তার বক্তৃতায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তাদের ওপর হামলা, অপপ্রচারের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। নুর বলেন, দেশব্যাপী তাদের প্রতি বিশাল অংশের মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তাদের উদ্যোগ আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা অন্য দলের বিরোধিতার জন্য নয় দেশ ও মানুষের স্বার্থে।
তিনি দুর্নীতি, সন্ত্রাস, দখলদারিসহ অব্যবস্থাপনার বিপক্ষে তাদের সংগঠন কাজ করবে বলে জানান। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নির্মম হামলার শিকার নুরুল হক নুর ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে হারিয়ে ভিপি নির্বাচিত হন।
নির্বাচনের পরদিনও তিনি হামলার শিকার হন। তবে পরে নুর ভিপি হিসেবে শপথ নেন। নুর শুক্রবার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা দেশের কল্যাণ করতে চাই, সমাজের কল্যাণ করতে চাই। দেশের মালিক আমি-আপনি, আমাদের ভোটে যেন সরকার নির্বাচিত হয়, তাদের পূজা করার প্রয়োজন নেই, তাদের রাজার মতো ভাবার দরকার নেই’।
তবে বৈঠক থেকে সংগঠনের নাম, কর্ম পরিকল্পনা এসব বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। মাসে অন্তত একবার বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। পরবর্তী বৈঠকের তারিখও শুক্রবার নির্ধারণ করা হয়নি। বৈঠকের শুরুতে কোটা আন্দোলনের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। নুর তার বক্তৃতার শেষে সবাইকে ‘ভয়কে জয় করার’ আহ্বান জানান।