সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান তার কার্যালয়ে যান ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা একেএম মুসা ও মা শিরিনা আক্তারসহ দুই ভাই। এ সময় শেখ হাসিনা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা ও গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কেউই আইনের হাত থেকে কোনোভাবেই রেহাই পাবে না। প্রধানমন্ত্রী তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় ওই ছাত্রী।
এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে বোরকা পরা কয়েকজন ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যায়।