Friday, 24 March, 2023 খ্রীষ্টাব্দ | ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |




মোদি নাকি রাহুল, কে বসছে ক্ষমতার মসনদে?

ঢাকা: ভারতে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। দেড় মাসব্যাপী আয়োজিত এবারের নির্বাচনে সাত দফায় ভোট নেওয়া হবে। শেষ হবে ১৯ মে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি আবার সরকার গঠন করবে কি না এর স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যাবে ২৩ মে।

এদিকে সি-ভোটার, টাইমস নাউসহ বেশ কিছু জনমত জরিপ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের তুলনায় তাদের আসন সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে।

৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে দরকার ২৭২টি আসন। একটি দল বা কয়েকটি দলের জোটের পক্ষে ওই সংখ্যায় পৌঁছানো কি সম্ভব? বিশেষত, গত কয়েক মাস ধরে ত্রিশঙ্কু লোকসভায় একটি আশঙ্কা দানা বাঁধছিল। কিন্তু পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা, বালাকোটে বিমানবাহিনীর অভিযান, আর্থিক ভিত্তিতে উচ্চশ্রেণির মানুষের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণ এবং কৃষকদের আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের হাওয়া কিছুটা নিজের দিকে ঘোরাতে পেরেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মার্চ এবং এপ্রিলে কয়েকটি জনমত সমীক্ষার পর দেখা গেছে, বিজেপি এককভাবে ২২৮টি আসন পেতে পারে। আর তার শরিকদের আসন ধরলে ২৭২টি আসন পাওয়া অসম্ভব নয়। কয়েকটি সমীক্ষার গড় থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

পাশাপাশি এও বলা হচ্ছে যে, ঐতিহ্যবাহী গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরসূরি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ২০১৪ সালের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াবে। গতবার ৪৪টি আসনে জিতেছিল তারা। এবার ৮৮টি আসনে জিততে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিজেপিকে তেমন সমস্যায় ফেলতে পারবে না।

কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলগুলো সবমিলিয়ে ১৪০টি আসন পেতে পারে। এছাড়া কংগ্রেস বা বিজেপির সঙ্গে নেই বেশ কয়েকটি দল। বিজেপি-কংগ্রেসকে সমদূরত্বে রেখে একটি ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরি করার কথা বলা হচ্ছে। সেই দলগুলো এবং নির্দলীয়রা মিলে মোট ১২৯টি আসন পেতে পারে। কোনও একক দল বা জোট গরিষ্ঠতা না পেলে ফেডারেল ফ্রন্ট ও নির্দলীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে ভারতের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে নরেন্দ্র মোদি জয়ী হয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলে কাশ্মীর নিয়ে একটা আলোচনার পথে আসা সম্ভব হবে। বিজেপি না এসে যদি ক্ষমতায় অন্য কোন দল আসে তাহলে কাশ্মীর সমস্যার কোনও সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি আরো স্পর্শকাতর হয়ে উঠবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by :