তিনজন নিহত হলেন, উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তাঁরাকান্দি গ্রামের মান্নান মাঝির ছেলে জামাল উদ্দিন মাঝি, তাঁতারদি এলাকার রশিদুল হকের ছেলে ইমদাদুল হক ও খিদিরপুর ইউনিয়নের ডোমনমারা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে মো: আল আমিন।
স্থানীয়রা জানান, নিহতরা সবাই পৃথকভাবে প্রায় এক মাস আগে জীবিকার তাগিদে ঋণের টাকায় সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ২ মে তারা প্রথম কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি।
সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। স্বান্তনা জানাতে এগিয়ে এসেছেন আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী।
একমাত্র উপার্জনক্ষম প্রবাসী স্বজনের এমন মৃত্যুতে শোকে নির্বাক হয়ে গেছেন স্বজনদের কেউ কেউ। একদিকে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারানো অপরদিকে ঋণের বোঝা যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা।
শেষবারের মতো দেখার ইচ্ছায় সরকারের মাধ্যমে দ্রুত মৃতদেহ ফিরে পাবার দাবি পরিবার ও স্বজনদের। পাশাপাশি সরকারের প্রতি পরিবারগুলোর পাশে দাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে রিয়াদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে শাকরায় ১৭ জন বাংলাদেশিকে বহনকারী একটি মিনিবাস চাকা ফেটে উল্টে যায়। এতে ১০ বাংলাদেশি নিহত হন। তারা সবাই আল হাবিব কোম্পানি ফর ট্রেডিং কর্মাশিয়াল কন্ট্রাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।