ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মান্নার ভবিষ্যদ্বাণী

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০১৯, ৭:০০ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। হল কিংবা হলের বাইরে, রাত কি দিন সব সময়, সবখানে চলছে প্রচারণা। ব্যানার কিংবা লিফলেটে তুলে ধরছেন নিজেদের ইচ্ছাগুলো।
এদিকে ডাকসু নির্বাচন ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের পথেই যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ এর স্বাধীনতা হলে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যেভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনও সেই পথে যাবে। যেখানে গায়ের জোর ও ভয় ভীতি দেখিয়ে ভোটের ফলাফল ক্ষমতাসীনরা নিয়ে নেবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১১ই মার্চ ডাকসু নির্বাচন হবে। কেমন নির্বাচন হবে? হলের মধ্যে কেন্দ্র বসানো হবে। বলবে আপনি চলে যান ভোট দেয়া লাগবে না। কিছুই করতে পারবেন না। পত্রিকায় দেখলাম মেয়েরাই নির্ধারণ করবে এই ভোটের ফলাফল। মেয়েরা কি নির্ধারণ করবে? ভয়ে তো ওরা ভোট কেন্দ্রেই যাবেই না।

অন্যদিকে শুক্রবার মধুর ক্যান্টিনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য। ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।
ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, বিভিন্ন হলে আমাদের যে ব্যানারগুলো আমাদের যে ফেস্টুনগুলো নেই। প্রশাসন এবং ছাত্রলীগকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি, এটার আবেগকে নিয়ে মর্যাদাকে নিয়ে মান নিয়ে খেলবেন না, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্বলে উঠবে। আমাদের নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকার ইচ্ছা আছে যদি প্রশাসন আন্তরিকতা দেখায়।
প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য পরিষদের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, আচরণবিধিকে মানা হচ্ছে না। আমরা ক্লাসরুম ক্যাম্পেইনের কথা বলেছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ক্লাসরুম ক্যাম্পেইন দেয়নি। কিন্তু তারা ক্লাসরুম ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে। এই যে একপাক্ষিকভাবে সবকিছু করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্তরায়।