বাহুবলে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা: সিএনজি উদ্ধার

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১:৩২ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম, বাহুবল।।
হবিগঞ্জের বাহুবলের পল্লীতে বই মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করায় কথিত প্রেমিক আল মামুনকে প্রধান আসামী করে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী।
রোববার দিবাগত রাতে বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপার তিনি বলেন, রাতেই আসামী মোবাশ্বিরের বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিতে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা ও ধর্ষকের গেঞ্জি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তবে আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য সে স্কুল গেটে আসলে কথিত প্রেমিক আল মামুন তাকে বই মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠায়। এসময় সিএনজি নিয়ে বই মেলায় না গিয়ে পুটিজুরী পুলিশ ফাঁড়ির রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর সিএনজিতে উঠে মামুনের বন্ধু তোফায়েল ও শিপন।
এসময় ঐ স্কুল ছাত্রী চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে মামুন ও তার বন্ধুরা স্কুল ছাত্রীর মুখ বন্ধ করে দেয়। পরে ঐ স্কুলছাত্রীকে বৃন্দাবন বাগানের পূর্ব পাশে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে বাগান পাহারাদার সহ পালাক্রমে গনধর্ষণ করে তারা।
ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী জানায়, ধর্ষণকারীরা হলেন যাদবপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আল মামুন, তার বন্ধু বাঘেরকাল গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে তোফায়েল ও মামুনের আরেক বন্ধু সিকরা টিলা গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে শিপন মিয়া, মামুনের বন্ধু তোফায়েলের বোন জামাই বাগান পাহারাদার ও সিএনজি চালক মোবাশ্বির।
এ ঘটনাটি অসহায় স্কুল ছাত্রীর পরিবার ধর্ষণকারীদের হুমকি আর ইজ্জ্বতের ভয়ে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। এদিকে ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীর অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার বিকালে বাহুবল হাসপাতাল পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সে পুটিজুরী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।