যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত রিমা

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১:৩৬ অপরাহ্ণ






বিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম ডেস্ক।।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি দূত হিসেবে রাজকুমারী রিমা বিনতে বানদার আল সৌদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রথম অন্য কোন দেশে সৌদি দূত হিসেবে কোন নারীর নাম ঘোষণা করা হলো।
ছোট ভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন প্রিন্সেস রিমা। অপরদিকে প্রিন্স খালিদ বিন সালমানকে ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বাবা বানদার বিন সুলতান আল সৌদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন রিমা। এর আগে ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বানদার বিন সুলতান আল সৌদ।
বাবার কাজের সূত্র ধরেই শৈশবের বেশিরভাগ সময়টা ওয়াশিংটন ডিসিতে কাটিয়েছেন এই রাজকুমারী। সেখানে তিনি জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে রিয়াদে ফিরে আসেন তিনি। সরকারি এবং বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
শনিবার এক ডিক্রি জারি করে রাজকুমারীকে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূত হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এমন এক সময় মার্কিন দূত হিসেবে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করছেন যখন সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে রিয়াদ।
গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। প্রথম দিকে তাকে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় সৌদি।
ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি প্রায়ই সৌদি সরকারের সমালোচনা করে কলাম লিখেছেন। তার হত্যাকাণ্ডের পেছনে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রিয়াদ। তবে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন। বিশেষ করে খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় সালমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগিরাও ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।