সিলেট ওসমানীনগরে ব্যবসায়ীরা প্রশংসিত, নামাজের সময় মাছ বিক্রি বন্ধ

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৫ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম ডেস্ক।।
পুঁজিবাদি এ যুগে হালাল রুজি যেন সোনার হরিণ। শত চেষ্টা সত্ত্বেও হারাম উপার্জন থেকে বেঁচে থাকা কষ্টকর এবং প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে মনে যদি সাহস আর ভরসা থাকে আল্লাহর ওপর তাহলে অবশ্যই সম্ভব, এমনটাই করে দেখাচ্ছেন ওসমানীনগরের তাজপুর বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা।
নামাজের সময় সাময়িকভাবে বিক্রি বন্ধ রেখে জামাতে শরিক হচ্ছেন। আযানের সাথে সাথে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা মাছ বিক্রি বন্ধ রাখছেন। মাছের চাংগা রেখেই চলে যাচ্ছেন নামাজ আদায় করতে। তাদের এই উদ্যোগ সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
তাজপুর বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুহেল আহমেদ সুরমা নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা গত দুদিন ধরে এই প্রশংসিত উদ্যোগ নিয়েছেন। আযানের সাথে সাথে তারা তাদের মাছ বিক্রি বন্ধ রেখে নামাজে শরিক হচ্ছেন।
মাওলানা সাইফুল আলম কিয়ামপুরী সুরমা নিউজকে বলেন, ঈমান আনার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামাজ। পরিতাপের বিষয় দুনিয়াবি বিভিন্ন কাজের অজুহাতে নামাজ আদায়ে অবহেলা করা হয়। কিন্তু সাহাবিরা নামাজের সময় হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুনিয়াবি সব কাজের ব্যস্ততা ছুড়ে ফেলে জামাত কায়েম করার চেষ্টা করতেন। তাদের ব্যাপারেই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,ঈমান আনার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামাজ। পরিতাপের বিষয় দুনিয়াবি বিভিন্ন কাজের অজুহাতে নামাজ আদায়ে অবহেলা করা হয়। কিন্তু সাহাবিরা নামাজের সময় হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুনিয়াবি সব কাজের ব্যস্ততা ছুড়ে ফেলে জামাত কায়েম করার চেষ্টা করতেন।
তাদের ব্যাপারেই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,আমরা তালহা (রা.)’র ঘটনা জানি নামাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হওয়ার কারণে তার প্রিয় বাগান আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিয়েছিলেন । এ সম্পর্কে আবদুল্লাহ বিন আবু বকর (রা.) বলেন, আবু তালহা আনসারি (রা.) একবার তার এক বাগানে নামাজ আদায় করছিলেন , আর বাগানের মধ্যে একটি পাখি উড়াউড়ি করছিল, মূলত পাখিটি বের হওয়ার চেষ্টা করছিল ,তলহা (রা:)’র এই দৃশ্য খুব ভালো লাগল। ফলে তিনি কিছুক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর নামাজের দিকে মনোযোগ দিলেন। কিন্তু তিনি স্মরণ করতে পারলেন না যে, নামাজ কত রাকাত আদায় করেছেন। তিনি বললেন, এই মাল আমাকে পরীক্ষায় ফেলেছে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) এর খেদমতে উপস্থিত হলেন এবং বাগানে তার সম্মুখে যে পরীক্ষা উপস্থিত হয়েছিল তা বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এই মাল আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করছি। আপনি যেখানে পছন্দ করেন তা সেখানে ব্যয় করুন। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ২১৪)।
সাহাবায়ে কেরাম (রা:)র এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে , নামাজ আদায়ে সচেতন হওয়া আমাদের একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সাহাবায়ে কেরামের মতো নামাজ আদায় করার তৌফিক দিন। সুত্রঃ সুরমা নিউজ