তারা দু’জনই রায়হান উদ্দিন (১৮) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১৫ নম্বর আসামী কলিম উদ্দিন এবং ৩০ নম্বর আসামী সাইফুল ইসলাম রোকন।
এদিকে, মিথ্যা মামলা আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন আওয়ামী পরিবারের অনেকেই। আবার প্রথম থেকেই এ তিনটি হত্যা মামলাকে আওয়ামী লীগ ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা’ দাবি করে আসছে৷ এরমধ্যে তারেক হত্যা মামলার বাদি নিহতের মা ইনারুন নেছা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে লিখিত আবেদন করেছেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, রায়হান হত্যা মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তিনি বলেন, হত্যা ও অন্যান্য মামলার সকল আসামীদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবিতে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন বিকেলে ছাত্র-জনতার বিয়ানীবাজার থানায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চলাকালে প্রাণ বাচাতে থানার ভেতর থেকে গুলি করে পুলিশ। এতে তিন যুবক নিহত এবং অন্তত ১০জন গুলিবিদ্ধ হন।
নিহতদের মধ্যে একজন হচ্ছেন রায়হান উদ্দিন (১৮)। সে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার তেলিকান্দি গ্রামের মো. ফারুক উদ্দিনের ছেলে। তবে রায়হান উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নয়াগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এ ঘটনায় নিহত অন্য দুজন হচ্ছেন- উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের কটুখালিরপাড় এলাকার তারেক আহমদ (২৪) ও পৌরসভার পূর্ব নয়াগ্রাম এলাকার ময়নুল ইসলাম (৩২)। নিহত সকলেরই ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন কার্য সম্পাদন হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রায়হান উদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার বড়ভাই বুরহান উদ্দিন গত ২৬ আগস্ট সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ৩০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া গত ৫ আগস্ট তারেক আহমদ (২৪) ও ময়নুল ইসলাম (৩২) নামে আরও দুজন নিহতের ঘটনায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের রয়েছে।
দায়েরকৃত ৩ হত্যা মামলার মধ্যে শতাধিক আওয়ামী নেতাকর্মী, ছয় সাংবাদিকসহ দু’টি হত্যা মামলায় নাম রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি এবং সিলেট জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের।