সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর ইন্তেকাল।। শোক প্রকাশ
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১:১৩ পূর্বাহ্ণঢাকা: জাতীয় সংসদের উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই।
রোববার দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) । আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক ছাদেক আহমদ আজাদ।
পৃথক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।
জানা যায়, ১৯৩৫ সালের ৮ মে জন্মগ্রহণ করেন সাজেদা চৌধুরী । তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে ১৯৫৬ সালে সাজেদা চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন।
তিনি ফরিদপুরের কৃষাণপুর ইউনিয়ন (ফরিদপুর-২; নগরকান্দা, সালতা ও সদরপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন।