বিয়ানীবাজারে প্লাবিত হচ্ছে রাস্তা-বাড়িঘর, শেওলায় পানি একশ’ সে.মি উপরে
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৯, ৭:২৯ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: বিয়ানীবাজারে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়ন অনেকটা জলমগ্ন।
ইতিমধ্যে কয়েকটি রাস্তা এবং বাসাবাড়িতে পানি উঠার খবর পাওয়া গেছে। পৌরশহরের শহীদটিলা, মধ্যবাজারসহ বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। শেওলা ইউনিয়নের দিগলবাকে নদীর ভেঙ্গে যাওয়া ডাইক প্রশাসনের উদ্যোগে দ্রুত মেরামত করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার একশ’ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়নে দু’টি করে মোট ২৪টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিজ নিজ ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শনিবার (আজ) বিয়ানীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমনি পরিদর্শন করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাসির উল্লাহ খান। তিনি দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় যান এবং বন্যাকবলিত মানুষকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বলেন, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে, প্রয়োজন হলে সেখানে গিয়ে উঠবেন। প্রশাসন আপনাদের দু’বেলা খাবার ও সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করবে।
বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শনে এডিসি’র সাথে ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আরিফুর রহমান, শেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহুর উদ্দিন, দুবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম।