প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যাখ্যা দিলেন হাছিব মনিয়া, ‘আমি ভোট দিয়েছি নৌকায়’
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০১৯, ১:৫৬ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গত রোববার আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান নেতৃত্ব দিলেও অনুপস্থিত ছিলেন সভাপতি হাজি আব্দুল হাছিব মনিয়া। এমনকি অনুষ্ঠানে নৌকা বিরোধীরা দাওয়াত পাননি। বিষয়টি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে দাগ কেটেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘বিয়ানীবাজারে দলের কর্মসূচী নেই’ শিরোনামে রোববার ‘বিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম’ পোর্টালে সভাপতি আব্দুল হাছিব মনিয়ার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ প্রতিবেদকের সাথে সেলফোনে আলাপকালে পুনরায় তিনি ‘আওয়ামী লীগের কর্মসূচী নেই’ কেন? এ বক্তব্যের পুরো ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
হাজি আব্দুল হাছিব মনিয়া তাঁর ব্যাখায় বলেন, বিয়ানীবাজারে একই কমিটি একটানা প্রায় ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এ সময়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগে গ্রæপিং থাকলেও আ’লীগ ছিল ঐক্যবদ্ধ। দলের সকল কার্যক্রম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সিদ্ধান্তে হয়।
তিনি বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনের আগ ও পরবর্তী সময়ে আমরা দু’জনের মধ্যে কিছুটা হলেও সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে আমি যতটুকু সম্ভব নৌকার পক্ষে কাজ করেছি এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু নৌকার প্রার্থী আতাউর রহমান খান বিজয়ী হতে পারেননি। মূলতঃ নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই সাধারণ সম্পাদক আতাউর খান আমার সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক অনেকটা ছিন্ন করেন। আমি প্রায়ই দলের কার্যকরি কমিটির সভা আহŸানের কথা বললেও তিনি নিশ্চুপ থাকেন।
হাছিব মনিয়া আরও বলেন, সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শফিকুর রহমান চৌধুরী সেলফোনে আমাকে দলের ৭০প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের আহ্বান জানান। ঐদিনই আমি আতাউর রহমান খানকে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পেয়ে বিষয়টি নজরে আনি এবং কমিটির মিটিং কল করার আহ্বান জানাই। তখনও আতাউর রহমান খান আমার কথায় তেমন গুরুত্ব দেননি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোন মিটিং হয়নি কিংবা আমরা দু’জনে কোন সিদ্ধান্ত নেইনি বিধায় আমি বলেছি- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কোন কর্মসূচী নেই। আমি চাইনি দল বিভক্ত হোক, নতুবা আমিও দলের নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারতাম। তবে সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের নামে আওয়ামী লীগে যে বিভক্তি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এর দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে।
আ’লীগ সভাপতি হাজি আব্দুল হাছি মনিয়া গণমাধ্যমে মাধ্যমে আবারও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খানকে কার্যকরি কমিটির সভা কল করার আহ্বান জানান।