জামায়াত নেতার জানাজায় ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০১৯, ১:৩৯ পূর্বাহ্ণচট্টগ্রাম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাজার সময় ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুমিনুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভীর শ্বশুর।
সংঘর্ষে জানাজায় অংশ নেয়া এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জানাজায় এমপি ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী ছিলেন না।
শনিবার বাদ জোহর নগরী চট্টগ্রাম কলেজ মাঠে (প্যারেড মাঠ) মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শনিবার ভোরে মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। সমালোচনা শুরু হলে তাকে সেই পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
পরে ওই বছরের জুলাই মাসে রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য করা হলে দলের ভেতর থেকেই তীব্র সমালোচনা হয়।
জানা গেছে, মোমিনুল হকের জানজায় শরীক হতে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা বেলা দেড়টার দিকে প্যারেড মাঠে জড়ো হয়। জানাজা শুরু আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল নিয়ে জানাজার দিকে এগুতে থাকলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দুপক্ষের লোকজন ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
শিবির নেতারা বলছেন, পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে ছাত্রলীগ জানাজায় হামলার উৎসাহ পায়।
ছাত্রলীগ বলছে, জামায়াতের নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাজা কলেজের মাঠে করার যে অনুমতি প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ দিয়েছে সেটা আমরা জানতাম না। ওই জানাজায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নিতে আসে। তাদের মধ্যে নগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আ স ম রায়হান, জুবায়ের ও হান্নানসহ কয়েকজন শিবির ক্যাডার ছিল। তাদের দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেয়।
চকবাজার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, মমিনুল হক চৌধুরীর জানাজায় কিছু ছেলেপেলে মারমুখী হয়ে ওঠে এবং ছাত্রলীগের ছেলেরা এগিয়ে এলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঝখানে অবস্থান নেয়। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়ে থাকতে পারেন। তবে বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে বলে জানান তিনি।