উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদকে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’,নিরাপত্তা জোরদার
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০১৯, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণসিলেট: মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনের সংসদ সদস্য ড. উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদকে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে’। এমন তথ্য এসেছে একটি উড়ো চিঠিতে। ‘হত্যার ষড়যন্ত্রের’-এ উড়ো চিঠি সম্পর্কে পুলিশকে ওয়াকিবহাল করেছেন সাংসদ আবদুস শহীদ নিজেই। এ উড়ো চিঠিকে ঘিরে তোলপাড় চলছে এলাকায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-‘উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। হিজামা থেরাপি এন্ড রুকিয়াহ সেন্টার কুসুমবাগ, মৌলভীবাজার, এস এ পরিবহণের পূর্ব পাশে দোতলা থেকে তা পরিচালনা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারী আই এস মৌলভীবাজার জেলার পরিচালক তাজুল ইসলাম লুলু, গ্রাম: দরগাপুর, পো: বৃন্দাবনপুর কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার। চিঠিতে প্রেরকের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে জনৈক সুজন মিয়া কদমতলী সিলেট।
ওই চিঠি শুক্রবার উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি’র মিশন রোড, শ্রীমঙ্গল-এর বাসার ঠিকানায় ডাক যোগে আসে। চিঠিটি সিলেট পোস্ট অফিস থেকে শ্রীমঙ্গল পোস্ট অফিসে পাঠানো হয়।
সাংসদ আবদুস শহীদের ব্যক্তিগত সহকারি ইমাম হোসেন সোহেল বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে এমপি স্যার শ্রীমঙ্গলের বাসায় আসেন। অন্যান্য দিনের মত এমপি স্যারের কাছে আসা বিভিন্ন চিঠিপত্র ওইদিন সন্ধ্যার পর খোলা হয়। অন্যান্য চিঠির সঙ্গে ওই চিঠিটিও খোলা হয়। চিঠির লেখা পড়ে বিষয়টি আমি স্যারকে জানাই। স্যার তখন একটি মিটিংয়ে ছিলেন। সেখানে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে ইউএনও নজরুল ইসলাম, এসিল্যান্ড মো. শাহিদুল আলম, সার্কেল এএসপি আশরাফুজ্জামানসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানান।’
চিঠির বিষয়ে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড.উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ’ডাকযোগে একটি চিঠি শুক্রবার হাতে পেয়েছি। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আমার খোঁজ খবর নিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কারা এই হুমকি দিয়েছে কেন দিয়েছে সেটা আমি জানি না।’
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমরা জেনেছি। এরপর থেকে আমরা তার নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তদন্ত চলছে। চিঠিতে উল্লেখ করা নামের ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’
এদিকে একই ধরণের একটি চিঠি কমলগঞ্জ থানায়ও পাঠানো হয়েছে বলে শনিবার রাতে নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘দুটি চিঠিকেই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কারা জড়িত।’ -সিলেটপ্রতিদিন