জানাযার পর মৃতব্যক্তিকে কাঁধে নিয়ে ৪০ কদম হাঁটলে কী হয়?

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০১৯, ১০:৪১ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
জানাযার সঙ্গে ইসলামের অনেক বিষয় জড়িত। প্রথমমত একজন মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের ৬টি হক আছে। তন্মধ্যে একটি হলো কেউ মারা গেলে তার জানাযায় উপস্থিত হওয়া।
জানাযায় উপস্থিত হলে পাওয়া যাবে এক ক্বিরাত সাওয়াব। তাছাড়া জানাযার পর মৃতব্যক্তির দাফন পর্যন্ত থাকলে পাওয়া যাবে দুই ক্বিরাত সাওয়াব।
মৃতব্যক্তির জানাযার পর যদি কেউ ৪০ কদম হাঁটে তার ৪০টি কবিরা গোনাহ ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
মৃতব্যক্তিকে কাঁধে নিয়ে ৪০ কদম হাঁটার মুস্তাহাব পদ্ধতি হলো-
মৃতব্যক্তির খাঁট বহনকারী খাঁটের হাতল ডান কাঁধে নিয়ে ১০ কদম চলবে। অতপর সামনের ডানের লোক বাম পাশে চলে আসবে। পেছনের ডান পাশের লোক সামনের ডান পাশে চলে আসবে।
এভবাবে প্রত্যেকেই তাদের স্থান পরিবর্তন করে আবার ১০ কদম হাটবে। এভাবে প্রান্ত বদল করে ৪ বারে ৪০ কদম হাটবে। অতঃপর প্রত্যেকেই যার যার অবস্থানে এসে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে মৃতব্যক্তিকে দাফনের জন্য নিয়ে যাবে।
যারা ৪ বারে ১০ কদম করে ৪০ কদম অতিবাহিত করবে, তাদের ৪০টি কবিরা গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জানাযা (জানাযার পর মৃত ব্যক্তির লাশ) কাঁধে নিয়ে ৪০ কদম যাবে। তার ৪০টি কবিরো (বড়) গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’
সুতরাং জানাযা নামাজ আদায় ও তাতে অংশগ্রহণে রয়েছে ব্যাপক সাওয়াব ও কল্যাণের কাজ-
– প্রথমত জানাযায় অংশগ্রহণেই প্রিয়নবির সুন্নাতের অনুসরণে মুসলমানের একটি হক আদায় হয়।
– দ্বিতীয় জানাযায় অংশগ্রহণে ১ ক্বিরাত সাওয়াব মেলে।
– তৃতীয়ত কেউ যদি দাফনের উদ্দেশ্যে মৃতব্যক্তির খাঁট নিয়ে ৪০ কদম হাটে তার ৪০টি কবিরা গোনাহ মাফ করে দেয়া। আর
– দাফন পর্যন্ত থাকলে আরো ১ ক্বিরাত সাওয়াব দেয়া হয়।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর জন্য জানাযায় অংশগ্রহণ অনেক সাওয়াবের কাজ। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কেউ মারা গেলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা এবং উল্লেখিত সাওয়াব ও গোনাহ মাফের সুযোগ নেয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জানাযায় অংশগ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত সাওয়াব লাভে ও গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।