কমানো হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময় সূচি : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মার্চ ২০১৯, ৮:৪২ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম ডেস্ক।।।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির নতুন সময় সূচি কমিয়ে আনতে চান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মাে. জাকির হােসেন।
তিনি বলেন, নতুন রুটিন শিক্ষার্থীদের জন্য মানা সম্ভব নয়। দীর্ঘ সময় ধরে ছােট ছােট বাচ্চারা স্কুলে থাকতে চায় না। তেমনি শিক্ষকদের মানসিকতাও ঠিক রাখা কঠিন। তাই বিষয়টির দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিমত প্রকাশ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের নতুন সময় সূচি মানা অসম্ভব। ক্লাস রুটিন অনুযায়ী একটা বাচ্চাকে সকাল ৯টায় স্কুলে আসতে হবে। আর যাবে বিকাল ৪টায় যায়। এটা অসম্ভব। যদি আমি নিজে ছাত্র হতাম তাহলে এর কোনাে এক সময় স্কুল থেকে পালিয়ে যেতাম বলে মন্তব্য করেন তিনি।




স্মৃতিচারণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি ছােটবেলায় দুষ্টু ছিলাম। মাইন্ড কইরেন না। আমারও বিদ্রোহী ভাব ছিলাে। যাই হােক, এত সময়, আমরা সময়টাকেও কমিয়ে দিতে চাই। শিক্ষকরা তাই সকাল ৯টায় আসেন। তাদের তাে ব্রেইন, তাদেরও তাে মানসিকতা ঠিক থাকে না। সবার এই জিনিস গুলো লক্ষ করতে হবে।
গত ২৯ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সূচি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম সকাল ৯টায় শুরু করে বিকাল সোয়া ৪টায় শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। আগের চেয়ে নতুন সময় সূচিতে ৩০ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ক্লাস শুরু হয়ে বিকাল সোয়া ৪টায় শেষ হতাে। নতুন এই ঘােষণার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা সময় কমিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন।




পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্লাস হবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল পৌনে ২টা এবং মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে শেষ হবে ২টা ১৫ মিনিটে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে ক্লাসের সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল সােয়া ৪টা পর্যন্ত।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যান। তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী শূন্য দেখতে পান। খোঁজ-খবর নিয়ে তারা জানতে পারেন যে, শিক্ষকরা ইচ্ছামতাে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমােদিত সিলেবাস ও শিক্ষাপঞ্জি (একাডেমিক ক্যালেন্ডার) অনুসরণ করা হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারি ও বেসরকারি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যান।