মাদারীপুরের একটি ভবন মৌমাছিদের ‘দখলে’

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ৪:০১ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
মাদারীপুরে একটি ভবনে ও ভবনের পাশের গাছের ডালে মৌমাছিরা অর্ধশতাধিক চাক বেঁধেছে। এত মৌচাকের কারণে বাড়িটি পরিচিতি পেয়েছে ‘মৌচাকবাড়ি’ নামে।
গত দশ বছর ধরেই জেলা শহরের দক্ষিণ খাকছাড়া গ্রামের কবির মল্লিকের বাড়িতে বছরের প্রায় ছয়মাস বাসা বেঁধে থাকে মৌমাছিরা। মৌচাক দেখতে প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে আসেন দশনার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কবির মল্লিকের দু’তলা ভবনের চারদিকের কার্নিশ, বারান্দার দেয়াল, দরজার ওপরের অংশ সবখানেই ঝুঁলছে মৌচাক। ভবনের পাশে গাছের ডালে ডালেও ঝুলছে মৌমাছির বাসা। দূর থেকে বাড়িটি দেখলে মনে হয় যেন মৌমাছির বাড়ি। এভাবে প্রায় অর্ধশত মৌচাক থাকে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।

বাড়ির মালিকের ছেলে সাজ্জাত মল্লিকসহ স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বাড়িতে এত মৌচাক থাকায় দূর দূরান্ত থেকে দর্শনাথীরা এসে ভিড় করেন। স্থানীয়দের জন্য বাড়িটা একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
বাড়ির মালিক কবির মল্লিক বলেন, গত ১০ বছর ধরে এভাবেই মৌচাক বসে আমার বিল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেষে। সারা বছর মৌচাক থাকলেও সরিষা চাষের মৌসুমে চাকের পরিমাণ বেড়ে যায়। মৌমাছি বাড়ির কারোরই কোন ক্ষতি করে না। মৌচাকের কারণে আমরা বারমাসই নিজেরা খাঁটি মধু খেতে পারি। সেই সঙ্গে প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনকেও দিতে পারি।
মাদারীপুর ফ্রেন্ডস অব নেচারের নির্বাহী পরিচালক রাজন মাহমুদ বলেন, যত্রতত্র ইটভাটার কারণে মৌমাছি আর মৌচাক কমে যাচ্ছে। তাই অনুমোদনবিহীন ইটভাটা বন্ধের দাবি জানাই। ২০ থেকে ২৫ বছরি আগে প্রায় সব বাড়িতেই মৌচাক দেখা যেত। পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে এখন আর তেমন মৌচাক চোখে পড়ে না। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে মৌচাকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, দিন দিন অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে প্রকৃতি থেকে মৌমাছি আর মৌচাক কমে যাচ্ছে। তাই মল্লিকবাড়ির এই দৃশ্যটি সবার নজর কেড়েছে। -সমকাল